আরিফ গাজী:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন ১২নং রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে জয়ের জন্য স্থানীয়দের জরিপে শুরুতে এগিয়ে ছিলো আথলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে মোঃ ইকবাল হোসেন সরকার।
গত বুধবার (২ ডিসেম্বর) স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা আবু বকরের নির্বাচনী গণসংযোগে হামলা, গুলিবর্ষণ ও ভাংচুরের ঘটনা পর থেকে স্থানীয়দের মাঝে এক ধরনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
ফলে জয়ের জন্য নৌকার নিশ্চিত ভরাডুবি হবে দাবি করে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা আবু বকর বলেন, নির্বাচনে জয়ের লক্ষে তার নিজ প্রতীক ঘোড়ার দৌড়ে এখন পিছিয়ে সকল প্রার্থীরা।
প্রতীক পাওয়ার শুরু থেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা আবু বকর প্রচার প্রচারণায় কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও তার উপবে হামলার ঘটনার পরথেকে প্রতিদিন জোরালো ভাবে গনসংযোগ করছেন তিনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রবিবার সারাদিন ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগনের কাছে ঘোড়া মার্কায় ভোট চান স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা আবু বকরসহ কয়েকথশ মুরব্বি ও স্থানীয় রাজনৈতিকবীদরা। অপরদিকে তেমন কোন প্রচারনা চোখে পরেনি নৌকাসহ অন্যান্য প্রার্থীদের।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ছফু মিয়া সরকার নির্বাচিত হন। বার্ধক্যজনিত কারণে ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর ইউপি চেয়ারম্যান ছফু মিয়া সরকার মৃত্যুবরণ করেন। এ কারণে গত ৩ সেপ্টম্বর চেয়ারম্যান পদটি শুন্য ঘোষণা করা হয়। আগামী ১০ ডিসেম্বর ওই ইউনিয়নে ভোট গ্রহণের কথা রয়েছে।
ওই ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ৩৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ৬৪৭ জন এবং নারী ভোটার ৭ হাজার ৩৮৭ জন।