কুবি প্রতিনিধি :
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সশরীরে ক্লাস শুরু হয়েছে মঙ্গলবার (০২ নভেম্বর) থেকে। দীর্ঘ ৫৯৪ দিন পর শ্রেণিকক্ষে সশরীরে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে অংশগ্রহণ করেছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই শিক্ষার্থী পরিবহনের বাস গুলো শিডিউল অনুযায়ী ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে ক্যাম্পাস। দীর্ঘদিন পর ক্লাসে ফেরার অনুভূতি ব্যক্ত করে ১৪ তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, দীর্ঘ প্রায় ২০ মাস পর ক্লাসে ফিরতে পেরে আমরা আনন্দিত।
করোনার কারণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শুরুর সাথেই হোচট খায়। আমাদের জীবন থেকে অনেক সময় নষ্ট হয়ে গেছে, এখন ক্লাস শুরুর পর আমরা দ্রুতই সে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবো।
গত মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮১তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুনরায় শ্রেণীকক্ষে ফেরার সুযোগ পেয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড মো. আবু তাহের বলেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা ২৭ অক্টোবর আবাসিক হলগুলো খুলে দিয়েছি। আজ থেকে ক্যাম্পাস খুলছে। সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে শ্রেণিকক্ষে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে এতদিন প্রাণহীন ক্যাম্পাসে দায়িত্ব পালন করে গেছি। যারা বিদ্যাপীঠের প্রাণ আজ থেকে তারাও ফিরবে।
এ আনন্দ অসাধারণ। পাশাপাশি আবাসিক হলগুলোর অবস্থা আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। আশা রাখব স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা পুনরায় ক্লাসে ফিরবে এবং জ্ঞানচর্চায় মনোনিবেশ করবে।
মঙ্গলবার সকালেই উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বিভিন্ন বিভাগে পরিদর্শনে যান।
এ সময় তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর আজ সশরীরে ক্লাস শুরু হয়েছে, আমি সকালেই বিভাগগুলো পরিদর্শন করেছি গিয়েছি। আমরা শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে সর্তক রয়েছি। ছাত্র পরামর্শক কার্যালয়ের পরিচালককে এ বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩ দফায় সশরীরে চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। সর্বশেষ অনলাইন মাধ্যমে এবং সশরীরে শুরু হওয়া পরীক্ষা চালিয়ে আসছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ|