১০:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২ লালমাইয়ে বিয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান

নারী নিপীড়কদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবেঃ কুমিল্লা জেলা যুব উলামা পরিষদ

  • তারিখ : ০৭:১৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০২০
  • / 428

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জসহ দেশব্যাপী অব্যহত নারী ধর্ষণ ও নারী নিপীড়ণে জড়িতদের দ্রুত বিচার আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আজ সোমবার বা’দ আছর কুমিল্লা নগরীর টাউন হল প্রাঙ্গনে ‘কুমিল্লা জেলা যুব উলামা পরিষদ’ এর উদ্যোগে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়৷

পরিষদের মুখপাত্র মুফতি নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে ও পরিষদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুফতি শরীফ আহমদ আশরাফী এবং মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ এর যৌথ সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পরিষদের সমন্বয়কারী মাওলানা ইলিয়াছ রাজাপুরী, যুগ্ম সমন্বয়কারী এইচ এম ত্বলহা, স্থায়ী কমিটির সদস্য মুফতি জাবেদুল ইসলাম, মাওলানা জিয়া উদ্দীন, মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মাওলানা তানঈমুদ্দীন সহ প্রমূখ সামাজিক ও শিক্ষাবিদ নেতৃবৃন্দ৷

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নারীর সম্মান ও সম্ভ্রম রক্ষার জন্যই ১৯৭১ সালে লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এদেশের স্বাধীনতা অর্জন করা হয়৷ এদেশ ৯২% মুসলমানের দেশ, ইসলাম ধর্মের সূচনা থেকেই নারীর মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে৷ অথচ, বর্তমান সময়ে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের ঘটনা ধারণাতীত হারে বেড়েই চলেছে৷ একজন নারী প্রধানমন্ত্রীর দেশে নারীদের প্রতি এমন নির্যাতন ও নিপীড়নের ঘটনা যথেষ্ট লজ্জাকর বিষয়৷ আমরা একটি প্রতিবেদনে লক্ষ্য করেছি, বিগত জানুয়ারি মাস থেকে আগস্ট পর্যন্ত ১৪শ এরও অধিক শুধু শিশুই যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে৷ বিগত ১০ দিনে ৫টি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যার সবকটিতেই সরকারদলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে৷ সুতরাং অপরাধী যে বা যারাই হোক, তাদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে নারী ধর্ষক ও নারী নিপীড়কদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে৷

বক্তারা আরো বলেন, দেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা না থাকায় বারবার ধর্ষণ এবং লোমহর্ষক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। অতএব ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন সহ সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হলে রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার বিকল্প নেই।

শেয়ার করুন

নারী নিপীড়কদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবেঃ কুমিল্লা জেলা যুব উলামা পরিষদ

তারিখ : ০৭:১৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জসহ দেশব্যাপী অব্যহত নারী ধর্ষণ ও নারী নিপীড়ণে জড়িতদের দ্রুত বিচার আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আজ সোমবার বা’দ আছর কুমিল্লা নগরীর টাউন হল প্রাঙ্গনে ‘কুমিল্লা জেলা যুব উলামা পরিষদ’ এর উদ্যোগে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়৷

পরিষদের মুখপাত্র মুফতি নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে ও পরিষদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুফতি শরীফ আহমদ আশরাফী এবং মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ এর যৌথ সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পরিষদের সমন্বয়কারী মাওলানা ইলিয়াছ রাজাপুরী, যুগ্ম সমন্বয়কারী এইচ এম ত্বলহা, স্থায়ী কমিটির সদস্য মুফতি জাবেদুল ইসলাম, মাওলানা জিয়া উদ্দীন, মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মাওলানা তানঈমুদ্দীন সহ প্রমূখ সামাজিক ও শিক্ষাবিদ নেতৃবৃন্দ৷

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নারীর সম্মান ও সম্ভ্রম রক্ষার জন্যই ১৯৭১ সালে লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এদেশের স্বাধীনতা অর্জন করা হয়৷ এদেশ ৯২% মুসলমানের দেশ, ইসলাম ধর্মের সূচনা থেকেই নারীর মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে৷ অথচ, বর্তমান সময়ে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের ঘটনা ধারণাতীত হারে বেড়েই চলেছে৷ একজন নারী প্রধানমন্ত্রীর দেশে নারীদের প্রতি এমন নির্যাতন ও নিপীড়নের ঘটনা যথেষ্ট লজ্জাকর বিষয়৷ আমরা একটি প্রতিবেদনে লক্ষ্য করেছি, বিগত জানুয়ারি মাস থেকে আগস্ট পর্যন্ত ১৪শ এরও অধিক শুধু শিশুই যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে৷ বিগত ১০ দিনে ৫টি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যার সবকটিতেই সরকারদলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে৷ সুতরাং অপরাধী যে বা যারাই হোক, তাদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে নারী ধর্ষক ও নারী নিপীড়কদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে৷

বক্তারা আরো বলেন, দেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা না থাকায় বারবার ধর্ষণ এবং লোমহর্ষক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। অতএব ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন সহ সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হলে রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার বিকল্প নেই।