মানব পাচারের অভিযোগে কুমিল্লা থেকে আব্দুল বারেককে আটক করেছে সিআইডি

স্টাফ রিপোর্টার

মধ্যপ্রচ্যে মানব পাচার ও প্রতারণার অভিযোগে অভিযোগে আব্দুল বারেককে গত ৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার কুমিল্লা মহানগরীর একটি রেস্টুরেন্ট থেকে আটক করে সিআইডি বিশেষ দল। তার বিরোদ্ধে নারী পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে।
সিআইডির হাতে আটক আব্দুল বারেকের বাড়ি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সাত ঘরিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
সিআইডির বিশেষ দলটি ঢাকা থেকে আব্দুল বারেকের উপর নজরদারি করে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে আদম পাচারের সাথে জড়িত বারেককে আটক করে।
এর আগেও বেশ কয়েকবার আটক হয় বারেক, তার বিরুদ্ধে মানব পাচার, ভূয়া ভিসা ও আকামা করে অসংখ্য মানুষের সাথে প্রতারনা করা অভিযোগ রয়েছ।
কুয়েতে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অবৈধ ভাবে প্রায় ৩ হাজার নারী পুরুষ পাচারের অভিযো রয়েছে। এরকম অভিযোগে আব্দুল বারেককে নিষিদ্ধ করে কুয়েত সরকার। কুয়েতে তার বিরেুদ্ধে মামলা হলে ( মামলা নং ১০৮২৫৫৩১২৮) কুয়েত পুলিশ তাকে আটক করতে অভিযান চালালে চোরাইপথে পলিয়ে আসে বারেক।
গত বছন কুয়েতে আব্দুল বারেক এক বাংলাদেশিকে জাল ভিসা ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে তিন বছরের জেল ও তিন হাজার দিনার জরিমানা করেছেন দেশটির আদালত। এ ছাড়া অপর এক মামলায় ৩ বছরের জেল দিয়েছেন কুয়েতের ক্রিমিনাল কোর্ট।
কুয়েত সরকারের দায়েরকৃত বিচারকার্যে ২টি মামলার রায় হয়েছে গত ২৩ সেপ্টেম্বর। মামলা নং ১০৮২৫৫৩১২৮, দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞা নং ১৫১৯৬৪৪৩৪। পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ক্রিমিনাল কেস নং ০০০৫৭৫ এবং কোর্ট কেস নং ০০১২১৩।
জানা গেছে, বারেক দীর্ঘদিন কুয়েতে থাকায় বিভিন্ন মহলের মানুষের সঙ্গে তার পরিচয় গড়ে উঠে। সে একাধিক কোম্পানির নামে জাল ও ভুয়া ভিসা ৭-৮ লাখ টাকায় বিক্রি করতো। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নিরীহ শহ¯্রাাধিক লোকজন নিয়ে আসারও অভিযোগ আসে। তার কাছ থেকে ভিসা নিয়ে কুয়েতে এসে বিড়ম্বনায় পড়েছে অনেকে।
প্রবাসীরা অভিযোগ করেন, আব্দুল বারেকর মাধ্যমে কুয়েতে আসার পর কাজের কন্ট্রাক পায়নি শ্রমিকরা। কাজ পেরেও কোম্পানিতে ঠিকমতো বেতন পরিশোধ করে না। বছর শেষ হয়ে গেলেও শ্রমিকদের ইকামা দেওয়া হয় না। নানা ধরনের ভোগান্তিতে শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় পুলিশি অভিযানে ধরা পড়ে সর্বশান্ত হয়ে দেশে ফিরে গেছে অনেক শ্রমিক।

আটক হওয়া শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদে বের হয়ে আসে জাল ও ভুয়া ভিসার ব্যবসার সাথে জড়িত আব্দুল বারেকের নাম। কুয়েতের বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ তদন্ত শেষে আব্দুল বারেকের দুটি মামলায় এই রায় প্রদান করেন।
কুয়েত প্রবাসীরা তার রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, তার কাছ থেকে জাল ভিসা নিয়ে এখানে অনেক শ্রমিক ইকামা পায়নি। কাজ নেই, মানবেতর জীবন যাপন করে অনেকেই ধরা পড়ে দেশে চলে গেছে। এখন তাদের ক্ষতিপূরণ কে দেবে?
এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জাল ও ভুয়া ভিসা বিক্রি ও শ্রমিকদের ইকামা না লাগানো এবং ভিসা দিয়ে শ্রমিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আত্মসাতের দায়ে কুয়েতের আদালত এই রায় প্রদান করেন। কুয়েত সরকার অবৈধ ভিসা ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে তদন্ত অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
error: ধন্যবাদ!