০৪:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২ লালমাইয়ে বিয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান

শতভাগ বিদ্যুতের দ্বারপ্রান্তে দেশ।

  • তারিখ : ০৩:০৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অগাস্ট ২০২০
  • / 253

শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বশীলরা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন, মুজিববর্ষেই দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুতায়নের আওতায় চলে আসবে। আর শতভাগ বিদ্যুতায়ন হতে আর মাত্র তিন শতাংশ এলাকা বাকি আছে। এখন শুধু দুর্গম চরাঞ্চলের কিছু অফগ্রিড এলাকায় বিদ্যুতায়ন বাকি আছে।

করোনা পরিস্থিতির জন্য এসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছাতে কিছুটা সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই গ্রিড এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আশার কথা হচ্ছে, দ্রুতগতিতে কাজ করায় সরকারের নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগেই শতভাগ বিদ্যুতায়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ বিভাগের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে, বর্তমানে দেশের ৯৭ ভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎসুবিধা পৌঁছে গেছে। বলা হচ্ছে আগামী বছরের আগস্ট মাসের আগেই অফগ্রিড এলাকায় সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। এ জন্য সরকার বেশ কিছু সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতায় আগামীকাল দেশের ১৮টি জেলার ৩১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে।

গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া এদিন ১৯টি নতুন বৈদ্যুতিক স্থাপনার যাত্রা শুরু হবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আশা করছি করোনাকালেও গ্রিড সেক্টরে এ বছরই শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করব। এরই মধ্যে ৯৭ শতাংশ বিদ্যুতায়নের কাজ হয়ে গেছে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল অফগ্রিড এলাকা, অর্থাৎ চরাঞ্চলসহ শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ এ বছর শেষ করব। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এই অফগ্রিড এলাকাগুলোর জন্য হয়তো শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ শেষ হবে না। আবার কিছু নতুন চর সৃষ্টি হওয়ায় সেখানেও এখন বাড়িঘর তৈরি হয়েছে। এগুলো আমাদের মাস্টারপ্ল্যানের বাইরে ছিল। এ ক্ষেত্রে এই এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে আগামী বছর পুরোটাই লেগে যাবে। তবে আগের মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী আমরা আশা করছি, চলতি বছরের ডিসেম্বরেই গ্রিড সেক্টরে শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে
’ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহটি ‘বিদ্যুৎ সপ্তাহ’ হিসেবে পালন করা হয়। এবার সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে অফগ্রিড এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দেশের চারটি বিতরণ কোম্পানিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, বিদুৎ উন্নয়ন বোর্ড, নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি এবং ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এই কোম্পানিগুলো সোলার হোম সিস্টেম, সোলার মিনি গ্রিড, সাবমেরিন ক্যাবল এবং ওভারহেড লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজটি বাস্তবায়ন করবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের চলতি বছরের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ১১ বছরে আওয়ামী সরকারের প্রচেষ্টায় ২৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৮টিতে। এর মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এসে পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র অবসরে গেছে। এ সময় মোট উৎপাদিত বিদ্যুৎ ৩ হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট থেকে বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ (২৪ আগস্ট বিকাল পর্যন্ত) ১৪ হাজার ৫৭৬ মেগাওয়াট হয়েছে। বিদ্যুতের সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৯৭ শতাংশে পৌঁছেছে। মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ২২০ কিলোওয়াট ঘণ্টা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১২ কিলোওয়াট ঘণ্টা। আর বিদ্যুতের গ্রাহকসংখ্যা ১ কোটি ৮ লাখ থেকে হয়েছে ৩ কোটি ৭৪ লাখ।

শেয়ার করুন

শতভাগ বিদ্যুতের দ্বারপ্রান্তে দেশ।

তারিখ : ০৩:০৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অগাস্ট ২০২০

শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বশীলরা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন, মুজিববর্ষেই দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুতায়নের আওতায় চলে আসবে। আর শতভাগ বিদ্যুতায়ন হতে আর মাত্র তিন শতাংশ এলাকা বাকি আছে। এখন শুধু দুর্গম চরাঞ্চলের কিছু অফগ্রিড এলাকায় বিদ্যুতায়ন বাকি আছে।

করোনা পরিস্থিতির জন্য এসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছাতে কিছুটা সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই গ্রিড এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আশার কথা হচ্ছে, দ্রুতগতিতে কাজ করায় সরকারের নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগেই শতভাগ বিদ্যুতায়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ বিভাগের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে, বর্তমানে দেশের ৯৭ ভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎসুবিধা পৌঁছে গেছে। বলা হচ্ছে আগামী বছরের আগস্ট মাসের আগেই অফগ্রিড এলাকায় সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। এ জন্য সরকার বেশ কিছু সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতায় আগামীকাল দেশের ১৮টি জেলার ৩১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে।

গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া এদিন ১৯টি নতুন বৈদ্যুতিক স্থাপনার যাত্রা শুরু হবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আশা করছি করোনাকালেও গ্রিড সেক্টরে এ বছরই শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করব। এরই মধ্যে ৯৭ শতাংশ বিদ্যুতায়নের কাজ হয়ে গেছে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল অফগ্রিড এলাকা, অর্থাৎ চরাঞ্চলসহ শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ এ বছর শেষ করব। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এই অফগ্রিড এলাকাগুলোর জন্য হয়তো শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ শেষ হবে না। আবার কিছু নতুন চর সৃষ্টি হওয়ায় সেখানেও এখন বাড়িঘর তৈরি হয়েছে। এগুলো আমাদের মাস্টারপ্ল্যানের বাইরে ছিল। এ ক্ষেত্রে এই এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে আগামী বছর পুরোটাই লেগে যাবে। তবে আগের মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী আমরা আশা করছি, চলতি বছরের ডিসেম্বরেই গ্রিড সেক্টরে শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে
’ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহটি ‘বিদ্যুৎ সপ্তাহ’ হিসেবে পালন করা হয়। এবার সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে অফগ্রিড এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দেশের চারটি বিতরণ কোম্পানিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, বিদুৎ উন্নয়ন বোর্ড, নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি এবং ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এই কোম্পানিগুলো সোলার হোম সিস্টেম, সোলার মিনি গ্রিড, সাবমেরিন ক্যাবল এবং ওভারহেড লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজটি বাস্তবায়ন করবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের চলতি বছরের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ১১ বছরে আওয়ামী সরকারের প্রচেষ্টায় ২৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৮টিতে। এর মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এসে পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র অবসরে গেছে। এ সময় মোট উৎপাদিত বিদ্যুৎ ৩ হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট থেকে বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ (২৪ আগস্ট বিকাল পর্যন্ত) ১৪ হাজার ৫৭৬ মেগাওয়াট হয়েছে। বিদ্যুতের সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৯৭ শতাংশে পৌঁছেছে। মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ২২০ কিলোওয়াট ঘণ্টা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১২ কিলোওয়াট ঘণ্টা। আর বিদ্যুতের গ্রাহকসংখ্যা ১ কোটি ৮ লাখ থেকে হয়েছে ৩ কোটি ৭৪ লাখ।