আরিফ গাজী :
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের নগরপাড় মৌজার দেশের চলমান সর্বশেষ জরিপের (বিএস) পর্চার ৭০৫,৭১০,৬৪৭ দাগের তিনটি সরকারি খাল ভরাট করে হাউজিং করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরকারি খালগুলো ক্রয়কৃত জমির সাথে ভরাট করে তা প্লট হিসেবে বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ইদ্রিস হাজী নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। ভরাট হয়ে যাওয়া খালগুলোর জমির পরিমাণ ৩৮ শতাংশ। এই জমির আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা।
এলাকাবাসীদের কাছ থেকে জানা যায়, নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের নগরপাড় মৌজায় শতবর্ষের পুরাতন খাল হচ্ছে এটি। এই খাল দিয়ে এক সময় আশ-পাশের কয়েকটি উপজেলার মানুষ কোম্পানীগঞ্জ বাজারে নৌকাযোগে যাতায়াত করতো। খালের পানি গ্রামবাসী কৃষি কাজে ব্যবহার করতো।
নবীপুর পূর্ব-নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের পৈয়াপাথর, গুঞ্জুর পশ্চিম পাড়া, গকুলনগর, নগরপাড় ও কোম্পানীগঞ্জ বাজারসহ আশপাশের বিভিন্ন জনপদের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ ছিলো এই খাল। গত কয়েক মাস আগে হাউজিং ব্যবসায়ী হাজী ইদ্রিস এই খালটি ভরাট করে তার ক্রয়কৃত জমির সাথে একত্রিত করে প্লট আকারে বিক্রি করছে। খালটি ভরাট করে ফেলায় একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে অপরদিকে সরকারের কোটি টাকার সম্পত্তি বেহাত হয়ে যাচ্ছে।
গকুল নগর গ্রামের জামাল মিয়া জানান, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ এই খালের পানি জমিতে সেচ কাজে এবং গৃহস্থালি নানা কাজেও ব্যবহার করতাম। এখন খালটি ভরাট হয়ে যাওয়া বৃষ্টি হলে পানি বন্দি হতে হয়।
এ ব্যাপারে হাজী ইদ্রিস বলেন, খাল এইডা ভরাট হইয়া গেছে আরো বহুত আগে। আর খাল কি শুধু আমিই ভরাট করছি? এই খালের দুই চার শতকের জন্য তো আর আমি আমার একশ শতকের ক্ষতি করমুনা। আমি খাল ভরাট কইরা বিক্রয় করতাছিনা আমি সেইডার উপর রাস্তা বানাইছি।
নবীপুর পূর্ব ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার মাহবুব আলম বলেন, আমার এতো কাছে খাল ভরাট হয়ে গেছে আমি নিজেই জানিনা। আসলে আমার ঐদিকে বেশি একটা যাওয়া হয়না তো। আমি আগামিকালকেই খবর নিয়া দেখতাছি।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, সরকারি খাল কেউ ভরাট করতে পারবে না। কেউ যদি তা করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।