০৪:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

সদর দক্ষিণের পাড়া-মহল্লায় চায়ের দোকানে চলছে দলবেঁধে আড্ডা

  • তারিখ : ০৪:৩৩:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১
  • / 710

মাজহারুল ইসলাম বাপ্পি :

ঈদ পরবর্তী মহামারি করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান ব্যতিত সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকার কথা থাকলেও সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকানগুলোতে চলছে জমজমাট আড্ডা। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর এই আড্ডা জমে ওঠে আরও বেশি করে।

কুমিল্লার সিটির দক্ষিণ অংশের রাজাপাড়া চৌমুহনী, কচুয়া চৌমুহনী, জাঙ্গালিয়া রেলওয়ে স্টেশন, উত্তর রামপুর চৌমুহনী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, চৌয়ারা বাজার এলাকা এবং সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা ইউনিয়নের বামিশা চৌমুহনী, দক্ষিণ রামপুর, টঙ্গীরপাড়, আলমপুর, যশপুর এলাকায়ও সন্ধ্যার পর চা দোকান ও বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় চায়ের দোকানের জমজমাট আড্ডার চিত্র।

এলাকার অলিগলিতে থাকা চায়ের দোকানগুলোতে এই সময় আড্ডা জমে বেশি। করোনা এমন ভয়াভহ পরিস্থিতিতে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় সচেতন মহলের।

টহলে থাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ির রাউন্ড দেখলেই স্থানীয়রা পালিয়ে যান। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি চলে গেলে আবার এসে বসে পরে চায়ের আড্ডায়।

সদর দক্ষিণ এলাকার এক চায়ের দোকানি কুমিল্লা এসডি নিউজ ২৪ কে বলেন, সারাদিন তো মানুষ চায়ের দোকানে আসে না। অল্প কিছু লোকজন আসে সন্ধ্যার পরে। তাই এখন একটু দোকান খোলা রেখেছি। চা বিক্রি না করতে পারলে না খেয়ে মরতে হবে। তাই ঝুঁকি নিয়ে একটু দোকান খুলি।

চা পান করতে আসা হায়দার আলী নামে এক ব্যক্তি বলেন, সারাদিন তো ঘরবন্দি, তাই সন্ধ্যার পর একটু চা খেতে আসা। এলাকার মধ্যে তো সবাই পরিচিত। আশা করি সমস্যা হবে না।

এছাড়া অলিগলির এসব আড্ডাতে দেখা মেলে না স্বাস্থ্য সতর্কতরাও। বিশেষ করে অনেকে আসেন মাস্ক ছাড়ায়। অনেকে আবার নিরাপদ দূরত্ব না মেনেই বসে পড়েন চায়ের কাপ হাতে মোবাইলে ৩/৪ জন মিলে লুডো অথবা কেরাম খেলতে।

শেয়ার করুন

সদর দক্ষিণের পাড়া-মহল্লায় চায়ের দোকানে চলছে দলবেঁধে আড্ডা

তারিখ : ০৪:৩৩:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১

মাজহারুল ইসলাম বাপ্পি :

ঈদ পরবর্তী মহামারি করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান ব্যতিত সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকার কথা থাকলেও সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকানগুলোতে চলছে জমজমাট আড্ডা। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর এই আড্ডা জমে ওঠে আরও বেশি করে।

কুমিল্লার সিটির দক্ষিণ অংশের রাজাপাড়া চৌমুহনী, কচুয়া চৌমুহনী, জাঙ্গালিয়া রেলওয়ে স্টেশন, উত্তর রামপুর চৌমুহনী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, চৌয়ারা বাজার এলাকা এবং সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা ইউনিয়নের বামিশা চৌমুহনী, দক্ষিণ রামপুর, টঙ্গীরপাড়, আলমপুর, যশপুর এলাকায়ও সন্ধ্যার পর চা দোকান ও বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় চায়ের দোকানের জমজমাট আড্ডার চিত্র।

এলাকার অলিগলিতে থাকা চায়ের দোকানগুলোতে এই সময় আড্ডা জমে বেশি। করোনা এমন ভয়াভহ পরিস্থিতিতে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় সচেতন মহলের।

টহলে থাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ির রাউন্ড দেখলেই স্থানীয়রা পালিয়ে যান। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি চলে গেলে আবার এসে বসে পরে চায়ের আড্ডায়।

সদর দক্ষিণ এলাকার এক চায়ের দোকানি কুমিল্লা এসডি নিউজ ২৪ কে বলেন, সারাদিন তো মানুষ চায়ের দোকানে আসে না। অল্প কিছু লোকজন আসে সন্ধ্যার পরে। তাই এখন একটু দোকান খোলা রেখেছি। চা বিক্রি না করতে পারলে না খেয়ে মরতে হবে। তাই ঝুঁকি নিয়ে একটু দোকান খুলি।

চা পান করতে আসা হায়দার আলী নামে এক ব্যক্তি বলেন, সারাদিন তো ঘরবন্দি, তাই সন্ধ্যার পর একটু চা খেতে আসা। এলাকার মধ্যে তো সবাই পরিচিত। আশা করি সমস্যা হবে না।

এছাড়া অলিগলির এসব আড্ডাতে দেখা মেলে না স্বাস্থ্য সতর্কতরাও। বিশেষ করে অনেকে আসেন মাস্ক ছাড়ায়। অনেকে আবার নিরাপদ দূরত্ব না মেনেই বসে পড়েন চায়ের কাপ হাতে মোবাইলে ৩/৪ জন মিলে লুডো অথবা কেরাম খেলতে।