মাজহারুল ইসলাম বাপ্পি :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ থেকে আলমপুর হয়ে সুয়াগাজী বাজার সড়কের সাতবাড়িয়া ব্রিজটি ভেঙ্গে বর্তমানে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ব্রীজটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে উপজেলার দুই ইউনিয়নের আঠারো গ্রামের প্রায় চল্লিশ হাজার মানুষ।
ব্রিজটি এক সপ্তাহের মধ্যে সংস্কার করে জনগণের চলাচলের উপযোগি করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইউএনও শুভাশিস ঘোষ। জরাজীর্ণ ব্রীজটি ভেঙ্গে পরিকল্পিতভাবে দৃষ্টিনন্দন একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৮৬ সালে এরশাদ সরকারের আমলে দুই ইউনিয়নের অন্তত ৪০ হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য আলমপুর হয়ে সুয়াগাজী বাজার সড়কের সোনাইছড়ি খালের উপর (প্রায় এক’শ ত্রিশ ফিট দৈর্ঘের) সাতবাড়িয়া ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।
এ ব্রিজটি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে নির্মিত। অভিযোগ রয়েছে অতিরিক্ত মালামাল বহনকারী যান চলাচলের কারণে ব্রীজটি ভেঙ্গে যায়। ব্রীজটি দ্রুত সংস্কারের পাশাপাশি একটি নতুন ব্রীজ করার দাবিও জানিয়েছেন এ সড়কে চলাচলকারী মানুষ। ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ার খবর পেয়ে বুধবার (১১ আগস্ট) কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষ ব্রীজটি পরিদর্শন করেন এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংস্কার করা হবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে চৌয়ারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম আজাদ সোহাগ বলেন, ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় চৌয়ারা ইউনিয়নের হাজারো মানুষ যাতায়াতে দূর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা ব্রীজের উপর দিয়েই মানুষকে চলাচল করতে হচ্ছে। দ্রুত সংস্কার করে মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থার পাশাপাশি পরিকল্পিত একটি নতুন ব্রীজ নির্মানের জন্য সওজ এর নিকট দাবি জানান তিনি।
কুমিল্লা জেলা পরিষদ সদস্য ও চৌয়ারা ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম মজুমদার জানান, জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ব্রীজ সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যেই সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাবলু বলেন, তৎকালীন সরকার খালের দু’পাড়ে মানুষের চলাচলের জন্য স্বল্প ব্যয়ে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ভারী মালবাহী যান চলাচলে ব্রীজটির ভেঙ্গে যায়। তিনিও ব্রীজটির দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষ জানান, ব্রীজটি সংস্কারের মাধ্যমে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মানুষের চলাচলের উপযোগি করা হবে।