কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলসহ দুজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- মামলার ছয় নম্বর আসামি নগরীর তেলীকোনা এলাকার আশিকুর রহমান রকি (৩২) এবং সাত নম্বর আসামি সুজানগর পূর্বপাড়া বউ বাজার এলাকার আলম (৩৫)। এ নিয়ে মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হলো।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বড়জালা ও লালমনিরহাট জেলার চন্ডীবাজার এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে আশিকুর ও আলমকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লার র্যাব-১১-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় লালমনিরহাটের চন্ডীবাজার থেকে আশিকুর এবং কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বড়জালা এলাকা থেকে আলমকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে, ২২ নভেম্বর (সোমবার) বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকার নিজ কার্যালয়ে বসেছিলেন কাউন্সিলর সোহেল।
এ সময় মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে তিনিসহ অন্তত পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা মারা যান।
ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাত সোয়া ১২টার দিকে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলমসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
পরে বুধবার (২৪ নভেম্বর) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুমন (৩২) নামের মামলার চার নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মাসুমকে (৩৯)।