স্টাফ রিপোর্টার :
কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় অবস্থিত নিউ মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ডের চলাচলের মার্কেটের পূর্ব দিকের উত্তর ও দক্ষিন পাশের রাস্তায় দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। ওই মার্কেটটির মালিক কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক)।
এরই মধ্যে দোকান নির্মাণের প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে, আন্ডারগ্রাউন্ডের চলাচলের রাস্তা বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ করেছে ব্যবসায়ীরা। তবে ওই মার্কেটের দোকান বরাদ্দ কমিটির সভাপতি ও কুসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড.সফিকুল ইসলাম দাবি করেছেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই।
কুমিল্লা নিউ মার্কেটের আন্ডাগ্রাউন্ডের গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানটি ছিন্নমূল হকার্স ব্যবসায়ীদের দেওয়ার পর থেকে আন্ডাগ্রাউন্ডে চলাচলের দুটু রাস্তা বাশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়। এখন এ দুটি রাস্তা দোকান ঘর করে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। নিউ মার্কেটের আন্ডাগ্রাউন্ডে চলাচলের রাস্তায় দোকান ঘর হলে ভবিষ্যৎে নিউ মার্কেটের আন্ডাগ্রাউন্ডেটি আর ব্যবহার করা যাবেনা বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিউ মার্কেটের পূর্ব পাশে আন্ডারগ্রাউন্ডে প্রবেশের জন্য মূল পথের পাশাপশি দু’টি শাখা রাস্তা রয়েছে। এ রাস্তা দু’টির একটি উত্তর দিকে আরেকটি দক্ষিণ দিকে গেছে। ওই দু’টি রাস্তার মধ্যেই নির্মিত হবে অন্তত ৫টি দোকান। এরই মধ্যে দক্ষিণ দিকের পথটি বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে মানুষের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে।
নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী মতিউর রহমান বলেন, আমাদের মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ডও পুরোপুরি দখল হয়ে গেছে। এর এক পাশে কাঁচা বাজার আর অন্য পাশে হকারদের দোকান বসাতে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে মার্কেটের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা তাদের গাড়ি আন্ডারগ্রাউন্ডে পার্কিং করতে পারছে না। বাধ্য হয়ে সকলকে গাড়ি, মোটরসাইকেল পার্কিং করতে হচ্ছে মার্কেটের পশ্চিম পাশে।
এতে একদিকে জিলা স্কুল রোডে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে, আবার অন্যদিকে প্রায়ই ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মোটরসাইকেল চুরি হচ্ছে। এ পর্যন্ত অন্তত ২০টি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। এখন আন্ডারগ্রাউন্ডের চলাচলের রাস্তায়ও যদি দোকান নির্মাণ করা হয়, তাহলে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সমস্যায় পড়তে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর উল্লাহ বলেন, দোকান বরাদ্দ কমিটিতে আমি নেই। বিষয়টি বলতে পারছি না। আপনি আমাদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারের সঙ্গে কথা বলুন। এছাড়া এভাবে চলাচললের রাস্তায় দোকান নির্মাণের কোন সুযোগ নেই।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মার্কেটের দোকান বরাদ্দ কমিটির সভাপতি ও কুসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড.সফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের দোকান বরাদ্দের আইন ও বিধি রয়েছে। এছাড়া সিটি করপোরেশনের স্বার্থ রক্ষা এবং জনগণের চলাচলে অসুবিধা করে রাস্তায় দোকান নির্মাণের কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
মার্কেটের দোকান বরাদ্দ কমিটির সভাপতি ও কুসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড.সফিকুল ইসলাম বলেন, সিটি কর্পোরেশনের আইন অনুযায়ী মার্কেটের চলাচলের রাস্তায় দোকান নির্মান বা বরাদ্দ দেওয়ার নিয়ম নেই।