নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউসহ ১৫৫ শয্যা বিশিষ্ট ডেডিকেটিড কোভিড হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়েছে। সেখানে ১০টি আইসিইউ শয্যারও ব্যবস্থা রয়েছে। বুধবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ভবনে এই করোনা চিকিৎসা হাসপাতালের যৌথভাবে উদ্বোধন করেছেন এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি ও সদর আসনের সংসদ সদস্য হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর, কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মোস্তফা কামাল আজাদ, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামানসহ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউসহ ১৫৫ শয্যা বিশিষ্ট ডেডিকেটিড কোভিড হাসপাতালের উদ্বোধন করে এলজিআরডি মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম বলেছেন, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে কোন পিসিআর মেশিন ছিলনা। কুমিল্লা সদর আসনের এমপি আ. ক. ম. বাহাউদ্দিন বাহার মহোদয় আমাকে অনুরোধ করেছেন, আমি পিসিআর মেশিনের ব্যবস্থা করেছি। আইসিইউর বিষয়ে আমাকে অনুরোধ করে বলেছেন আমি যেন অর্থ বরাদ্দ দেই। যাতে করে আইসিইউ স্থাপন করা যায়। আমি অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি এখানে আইসিইউ স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কুমিল্লা আমার শহর। কুমিল্লা শহরে আসতে আমার ভাল লাগে। কিন্তু আজকের সময়টা এমন একটা সময় সব লোকদের নিয়ে সমাবেশ করা বা সবাই মিলে একসাথে কথা বলা সম্ভব হচ্ছেনা। প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনারা বিভিন্ন সময় আমাদের দেশের তথা জাতির বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করে মানুষ ও সরকারের মধ্যে যোগ সূত্র স্থাপন করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করেন এজন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ। বিশেষ করে কুমিল্লার সকল সাংবাদিকবৃন্দকে আপনারা অনেক ভাল কাজ করেন এজন্য আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি অংশ কোভিড হাসপাতাল হিসেবে উদ্বোধন করা হয়েছে। সেখানে ১৫৫টি বেড এবং ১০টি আইসিইউ বেডসহ পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হয়েছে। এর আগেও আমরা করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছি। এ হাসপাতাল চালু হওয়ার পূর্বে ফোরটিস হাসপাতালকে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নিয়েছিলাম। আজ থেকে ফোরটিস হাসপাতালকে ছেড়ে দিয়েছি। এই মুহূর্তে সেখানে যারা আছে তারা ভাল হয়ে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে যাবে। আর যারা অসুস্থ্য অনুভব করবে তাদেরকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিবে।
কুমিল্লায় পরীক্ষার জন্য মানুষ ক্ষুদ্ধ। তাই আমরা আরো একটি আরটি পিসিআর মেশিন ক্রয় করবো। ব্লাড সেপারেট বা প্লাজমা মেশিন একটি আনা হবে। এই মেশিনটি দিয়ে অনেক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। জুনের মধ্যে সকল কাজ সম্পন্ন করা হবে। কুমিল্লার মানুষের নমুনা সংগ্রহের জন্য দুইটি বুথ স্থাপন করা হবে। সিম্পটম দেখা না দিলে দয়া করে কেউ করোনা পরীক্ষার জন্য যাবেন না।
আমাদের এখন দুইটি সমস্যা একটি কোন রকম সিমপটম নেই পরীক্ষা করছে অন্যটি পরীক্ষার পর করোনা পজেটিভ আসলে সে পালিয়ে যায়। যাদের উপসর্গ আছে শুধু তারা বুথ গিয়ে নমুনা দিয়ে করোনা পরীক্ষা করবেন। আমরা সকলে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন মিলে আপনাদের জন্য কাজ করছি। বিনা প্রয়োজনে কেউ বাসা থেকে বের হবেন না। আপনি বাহিরে আসবেন ভাইরাস ঘরে নিয়ে যাবেন। আপনার বৃদ্ধ মা বাবা, ভাই বোন, ছেলে মেয়ে তাদেরকে ঝুকির মধ্যে ফেলে দিলেন। তাই কোন রকম প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাহিরে যাবেন না। গতকাল কোভিড ১৯ ডেডিকেটেড করোনা ওয়ার্ড উদ্ভোধন অনুষ্ঠান শেষে কুমিল্লা সদর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য হাজী আকম বাহাউদ্দিন বাহার এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো: মোস্তফা কামাল আজাদ, হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম বার পিপিএম, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আনোয়ারুল হক, কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ প্রমুখ।