আরিফ গাজী :
শ্রমীকলীগ নেতার পাওনা টাকা না দিয়ে উল্টো ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন উপজেলা শ্রমীকলীগের সহ সভাপতি মুন্সী মহসিন উদ্দিন। শনিবার দুপুরে কুমিল্লার মুরাদনগর প্রেসক্লাবে তিনি ওই সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শ্রমীকলীগ নেতা বলেন, আমাদের গ্রামের ঈদগাহ মসজিদের অজুখানা নির্মানের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান আহসানুল আলম সরকার কিশোর উনার কর্মী হিসেবে দুটি প্রকল্পে আমাকে কাজ করার জন্য বলেন। আমি সরল বিশ্বাসে চেয়ারম্যানের হয়ে প্রকল্প দুটির কাজ একসাথে সম্পন্ন করি।
উপজেলা হতে ৩০জুন ২০১৯ তারিখে আমাকে ৩,৭৫,৫৭২ (তিন লক্ষ পঁচাত্তর হাজার পাঁচশত বাহাত্তর) টাকার ইস্টিমেট দেওয়া হয়। আমি চেয়ারম্যানের কথা অনুযায়ী নিজস্ব অর্থ ব্যয় করে প্রকল্পের কাজ শেষ করি। কাজ শেষে চেয়ারম্যানের কাছে প্রকল্পের টাকা চাইলে, তিনি আমাকে টাকা দেব-দিচ্ছি বলে ঘুরাতে থাকেন। এভাবে গত দুই বছর যাবত সকাল বিকাল তার কাছে ধর্না দিয়েও টাকা পাইনি।
উল্টো গত ২৫মে ২০২১ইং মঙ্গলবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৭:৪৫ ঘটিকায় মুরাদনগর কোম্পানীগঞ্জ সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর তার গাড়িতে আমাকে তুলে নেয়। তখন গাড়িতে ছিল জাকারিয়া, মিলনসহ আরো অপরিচিত ২/৩ জন। তাদের সামনে তিনি আমাকে বলেন টাকা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে পাঁচ কোটি টাকার মানহানির মামলা করব।
সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় আছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই ঘটনার ন্যায্য বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান আহসানুল আলম সরকার কিশোর মুটোফোনে বলেন, মুন্সী মহসিন উদ্দিনসহ কয়েকজন মিলে পাটনারে কাজ করেছেন। তাদের মধ্যে কি হয়েছে তা তিনি আমার কাঁধে চাপাতে পারেন না।
আমাকে বিব্রত করার জন্যই মূলত এ কাজ করেছে তিনি। আমার জানামতে এ বিষয়ে মুন্সী মহসিনসহ তাদের পাটনারদের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। আর আমি তাকে কেন মানহানি মামলা দেয়ার হুমকি দেব সেতো আমার কাছে টাকা পায়না।