৩২টি বছর পার করে ৩৩তম বর্ষে পা দিলেন আজ তিনি। শুভ জন্মদিন সাকিব আল হাসান।
১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ মাগুরায় কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা মাশরুর রেজা আর গৃহিণী শিরিন শারমিনের ঘর আলোকিত করে আসেন ফয়সাল।
শুরুতে পরিবার থেকে এ নামেই ডাকা হতো সাকিবকে। যদিও সাকিবভক্তদের অনেকেই জানেন না সে কথা। পরিবারের প্রথম ও একমাত্র ছেলে সন্তান সাকিব।
বাবা মাশরুর রেজা একসময় মাগুরায় ভালো ফুটবল খেলতেন, সেকারণেই সাকিবের শুরুটা হয় ফুটবল দিয়ে। বাবার ইচ্ছাও ছিল তাই। এভাবে ছোটবেলা থেকে ফুটবল খেলতে খেলতে কীভাবে যে ক্রিকেটারে পরিণত হলেন তা এক ইতিহাস।
ফুটবল দিয়ে শুরু করলেও সাকিব আল হাসান আজ একজন ক্রিকেটার। যেন তেন মানের নয় জাত ক্রিকেটার তিনি। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
২০০৬ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। একই বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই খুলনায় টি ২০ ও পরের বছর চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয় সাকিবের।
এখন পর্যন্ত ৫৬ টেস্ট ১০৫ ইনিংসে ব্যাট করে সাকিব ৩৯.৪০ গড়ে করেছেন ৩৮৬২ রান। রয়েছে পাঁচটি সেঞ্চুরি ও ২৪টি হাফ সেঞ্চুরি। সাদা পোশাকে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ২১৭ রানের। ৯৫ ইনিংসে বল করে পেয়েছেন ২১০টি উইকেট। বোলিং গড় ৩১.১২ ও ইকোনোমি ৩.০১ করে। ১০ উইকেট পেয়েছেন দু’বার। ৫ উইকেট পেয়েছেন ১৮বার। এক ম্যাচে তার সেরা বোলিং ফিগার ১২৪ রানে ১০ উইকেট। আর এক ইনিংসে ৩৬ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট।
ওয়ানডেতে ২০৬ ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন ১৯৪ বার। ৩৭.৮৬ গড়ে করেছেন ৬৩২৩ রান। রয়েছে ৯টি সেঞ্চুরি ও ৪৭টি হাফসেঞ্চুরি। এক ম্যাচে তার সেরা ১৩৪ (অপরাজিত)। আর ২০৩ ইনিংসে বল করে ৩০.২১ গড় ও ৪.৪৮ ইকোনোমিতে নিয়েছেন ২৬০ উইকেট। ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন দু’বার। সেরা বোলিং ফিগার ২৯ রানে ৫ উইকেট।
৭৬টি টি-টোয়েন্টিতে ১২৩.৭৭ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৫৬৭ রান। রয়েছে ৯টি হাফসেঞ্চুরি। আর ৭৫ ইনিংসে বল ঘুরিয়ে নিয়েছেন ৯২ উইকেট। ইকোনোমি ৬.৮১। সেরা বোলিং ফিগার ২০ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট।