মাজহারুল ইসলাম বাপ্পি :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের জঙ্গলপুরে এক মহিলাসহ চারজনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় জামিনে বের হয়ে মামলা বাদীর বাড়ি-ঘর কুপিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে প্রতিপক্ষ।
গ্রেফতার হওয়ার একদিনের ব্যবধানে সোমবার বিকালে জামিনে মুক্ত হয়ে রাত এগারোটায় মোহাম্মদ আলী, আনিস ও মামলার প্রধান আসামী মালেক তাদের দলবল সহকারে অস্ত্র নিয়ে বাদীর পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে রাতের অন্ধকারে এ হামলা চালায়। বর্তমানে সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মামলার বাদীর পরিবারের লোকজন।
সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়নের জঙ্গলপুর গ্রামের আব্দুল মালেক এর নেতৃত্বে খোকন মিয়া, তোফাজ্জল হোসেন, শরীফ, মোহাম্মদ আলী, দুলাল মিয়া, সজিব, মাসেক, আনিস, ইদ্রিস পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একই গ্রামের ইমান হোসেন, নুরু মিয়া, তাহেরা বেগম ও কবির হোসেনকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে।
আহতদের মধ্যে ইমান হোসেন, নুরু মিয়া, তাহেরা বেগম এর অবস্থা আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় মনির হোসেন বাদী হয়ে ২৫ জুলাই রবিবার রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার দিন’ই মোহাম্মদ আলী ও আনিস নামের দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কিন্তু গ্রেফতারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুই আসামী জামিনে মুক্ত হয়ে ওই রাতেই প্রধান আসামী মালেক ও তাদের দলবল নিয়ে নিরিহ ওই পরিবারে হামলা চালিয়ে ঘর-বাড়ি ও বাড়ির সীমানা প্রাচীর কুপিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। ভাংচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় পৃথক আরেকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামী মালেকসহ অন্যান্য আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরী জানান, হামলা ও ভাংচুরের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। অপরাধীদের কোন ভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।