সোহাগ মিয়াজী :
বাংলাদেশ পুলিশ একটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। এই সংস্থার একজন সদস্য হয়ে নিজেকে দেশের গর্বিত সন্তান মনে করছি। কারণ এই পেশার মাধ্যমে জনগণকে সেবা দেওয়ার অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে।
আমাদের পুলিশ বাহিনীর ব্যাপক বিস্তৃতী এবং অনেক গৌরবের ইতিহাস রয়েছে। পুলিশ না থাকলে সাধারন মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও শৃংখলা টিকে থাকবে না, এটা যুগে যুগেই প্রমাণিত হয়েছে।
আমি বর্তমানে পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) কর্মরত রয়েছি। এটি একটি বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট। এই শাখাটি অত্যন্ত দক্ষ, বাস্তবধর্মী ও প্রযুক্তি নির্ভরতার মাধ্যমে জনগণকে সেবা দিয়ে থাকে। আমরা বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকান্ডে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সর্বদাই অঙ্গীকারাবদ্ধ।
এক প্রশ্নের জবাবে জনাব পরিমল বলেন, পুলিশকে সংবেদনশীল আচরণ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আইনের শাসন নিশ্চিত করতে পুলিশই প্রথমে এগিয়ে আসে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার ক্ষেত্রে আমাদের পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক অনেক বেশি। বর্তমান সরকার জনগণের সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন আইনকে সংস্কারের মাধ্যমে যুগোপযোগী করেছে। এখন ,আমাদের উচিত আইনের শাসন নিশ্চিত করতে যথাযথভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করা। আর ,আমরা সেটাই করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আমি সাধারণ মানুষের সেবক হতে চাই, সেবক থাকতে চাই এবং আমরণ অপরাধীর শত্রু হয়ে থাকতে চাই। যে কোনো মামলার যথাযথ তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে, অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনার বিষয়ে, মামলার বাদী, ভিকটিম ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা প্রদানসহ আমার প্রতি অর্পিত যাবতীয় দায়িত্ব নির্মোহভাবে পালন করে যেতে চাই। জনগণকে আইনি সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে তথ্যের ভিত্তিতে যে কোনো সাহায্য প্রদানে আমি সর্বদাই প্রস্তুত। নারী, শিশু, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধীসহ সেবাপ্রত্যাশী দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রতি সংবেদনশীল থাকতে চাই।
শান্তির শপথে বলীয়ান বাংলাদেশ পুলিশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাসহ, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। নিপীড়িত মানুষের পাশে বন্ধুর মতো আচরন এবং অপরাধীকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে থাকে। বাংলাদেশের মানুষকে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে আবদ্ধ রাখতে আমরা “বাংলাদেশ পুলিশ” সর্বদাই রাষ্ট্রের কাছে দায়বদ্ধ রয়েছি।
বাংলাদেশ পুলিশ যে কোনো সময়ের চেয়ে আরও অনেক বেশি গতিশীল। আনুষ্ঠানিক ভাবে” জরুরী সেবা-৯৯৯” চালু হওয়ার পরও বেশ ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। জনগণ এখন তাৎক্ষনিক পুলিশের সেবা পেতে পারে।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উন্নতির কারণে পুলিশী সেবা এখন জনগণের হাতের মুঠোয়। তড়িৎ এ সেবার ব্যবস্থার আগে কল্পনাও করা যেতো না। অধিকাংশ কলেরই সেবা নিশ্চিত করা হয়।
পরিশেষে বলতে চাই, একটি ভালো কাজ একটি ভালো গল্পের সূচনা করে। আমি সর্বদাই জনগণের বন্ধু ও সেবক থাকতে চাই এবং শত্রু হয়ে থাকতে চাই সকল অপরাধীর। পুলিশ ও জনসাধারণের মধ্যে দূরত্ব কমানোই হলো পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের কাম্য। আমিও এই তত্বে বিশ্বাসী। আমি একদিকে যেমন অপরাধীর জন্য ত্রাস থাকতে চাই, অন্যদিকে সারাজীবনই জনগণের আস্থায় থাকতে চাই। সাধারন মানুষের মনে ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে পারাই একজন পুলিশ সদস্যের সর্বোচ্চ চিন্তাধারা হওয়া উচিত বলেই আমি মনে করি।