করোনার প্রভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কমে গেছে যান চলাচল

মো.জাকির হোসেন
প্রাণঘাতি রোগ করোনার প্রভাবে ঢাকা-চট্টগাম মহাসড়কে যানচলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে লোকচলাচলও কমেছে আশংকাজনকভাবে। পাশাপাশি মহাসড়কের পাশে থাকা শত শত হোটেল রেষ্টুরেণ্টও বন্ধ হওয়ার পথে। এছাড়াও মহাসড়কের পাশে থাকা ছোট-খাটো দোকানী ও স্বল্প আয়ের মানুষও কর্মব্যস্ততা কমে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়ছে।
সরেজমিন মহাসড়কের বিভিন্নস্থান ঘুরে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, দেশের লাইফ লাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ১’শ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে কুমিল্লা অংশে। প্রতিদিন মহাসড়ক পথে দেশের আমদানীর রপ্তানীর সিংহভাগ পরিবহন ছাড়াও পর্যটন খ্যাত চট্টগ্রাম ,কক্সবাজার ,টেকনাফ,সেন্টমার্টিন , রাঙ্গামাটি , বান্দরবান , কাপ্তাই, খাগড়াছড়ি , রামগড় এলাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার দেশী বিদেশী পর্যটকরা ভ্রমনে আসতো। সম্প্রতি করোনা ভাইরাস বিশ্বের প্রায় ১৭৩ দেশে ছড়িয়ে পড়লে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দেশের অর্থনীতি। এছাড়াও সরকার পর্যটন সমৃদ্ধ এলাকাগুলোতে লোকসমাগম বন্ধের ঘোষনায় পর্যটন এলাকাগুলোও জনশূণ্য হয়ে পড়ে। ফলে এর প্রভাব পড়ে যানবাহনের উপর। এঅবস্থায় রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম,সিলেটসহ সারাদেশ থেকে যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে। ফলে কর্মশূণ্য হয়ে পড়ে যানবাহনের হাজার হাজার শ্রমিক। পাশাপাশি মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক হিসেবে দৈনন্দিন কাজ করা স্বল্প আয়ের মানুষদের এখন বেহাল দশা। এছাড়াও মহাসড়কের পাশে কুমিল্লা অংশের দাউদকান্দি থেকে চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত স্থানে চালু থাকা প্রায় দু’শতাধিক হোটেল রেষ্টুরেণ্ট যেগুলোতে যাত্রাপথে যানবাহনগুলো বিশ্রামসহ খাওয়া-দাওয়া করতো সেগুলোও এখন ক্রেতা শূণ্য হয়ে পড়েছে। এতে সেগুলোতে কাজ করা অসংখ্য শ্রমিকও এমুহুর্তে বেকার হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। দাউদকান্দি টোলপ্লাজা সুত্র জানায়, প্রতিদিন স্বাভাবিক সময়ে এই মহাসড়ক পথে কমপক্ষে ২৭ হাজার বিভিন্ন শ্রেনীর যানবাহন চলাচল করলেও এখন মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা। কুমিল্লা জেলা ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেন জানান, করোনা প্রভাবে বর্তমানে মহাসড়ক পথে দু-তৃতীয়াংশ গাড়ি কমে গেছে। এতে বহু শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। তিনি এঅবস্থা থেকে উত্তরনে শ্রমিকদের সরকারী সাহায্যের আহবান জানান। কুমিল্লা জেলা হোটেল মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক নাসিরুল ইসলাম মজুমদার বলেন,করোনা প্রভাবে মহাসড়ক যাত্রী শূণ্য হয়ে পড়ায় মহাসড়কের পাশে চালু থাকা বেশ কিছু হোটেল বন্ধসহ বিক্রি ৮০% শতাংশ কমে গেছে। তিনি আরো বলেন , বর্তমানে অনেক হোটেল মালিক শ্রমিকদের প্রতিদিন নিজ উদ্যোগে মুজুরী দিয়ে যাচ্ছেন।
দাউদকান্দি মেঘনা-গোমতী টোলপ্লাজার সিস্টেমস ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা কামাল জানান, ২১ মার্চ পর্যন্ত যানচলাচল মোটামুটি স্বাভাবিক থাকলেও রোববার (গতকাল) থেকে যানচলাচল কিছুটা কমে গেছে। এসময় ঢাকাগামী অংশে প্রায় ১১ হাজার গাড়ি পারাপার হয়।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
error: ধন্যবাদ!