সাইফুল ইসলাম শিশির:
করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এক নারীর মৃত্যুর পর দাফন নিয়ে আবারোও এক অমানবিক ঘটনা ঘটলো মঙ্গলবার কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বাঘমাড়া ইউনিয়নের উত্তর মনোহরপুর গ্রামের ফিরোজ মিয়ার স্ত্রী পারুল বেগম। স্থানীয়রা ওই নারীর লাশ দাফনে বাঁধা দিয়ে কবরস্থানে বাশেঁর বেড়া দিয়ে পথ আটকে দেন। এমনকি ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি মজিদের খাঠিয়াও।
স্থানীয়দের বাঁধার মুখে বৃষ্টিতে ভিজে ধানক্ষেত পাড়ি দিয়ে এককিলোমিটার দুরে ওই নারীর লাস দাফন করে কুমিল্লার মানবিক সংগঠন বিবেকের সদ্যরা।এদিকে গত রোববার কুমিল্লা জেলায় করোনা শনাক্তের হার ছিলো ৩.৮ শতাংশ।সেই হার একদিনের ব্যবধানে হঠাৎ করে বেড়ে ১৪.৪ শতাংশে পৌঁছেছে ।
মঙ্গলবারও কুমিল্লা করোনা শনাক্তের হার প্রায় এগারোর মতো ছিল। একমৃত্যুসহ ২৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লার সিভিল র্সাজন ডা. মীর মোবারক হোসাইন জানিয়েছেন,গত ২৪ ঘন্টায় প্রাপ্ত ২৬৯রির্পোটের মধ্যে নতুন করে ২৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।এনিয়ে জেলায় এখন পর্যৗল্প ১২ হাজার ৬৮৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।তাদেও মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৩৬৫ জন। করোনায় মঙ্গলবার এক নারীর মৃত্যুসহ জেলায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৩০জন। কুমিল্লা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার কুমিল্লা
করোনাভাইরাসের শনাক্তের হার ছিলো ১০.৮ শতাংশ। একদিন আগে সোমবার জেলায় করোনাভাইরাসের হার ছিলো ১৪.৪ শতাংশ।ওই দিন ৫পুরুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। নতুন করে ৪০ জনের শরীরে করোনা শন্ধসঢ়;ক্ত হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১৯ জন।
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোনাইন বলেন, কুমিল্লায় আক্রান্ত কমেনি।এখন কিছুটা বেড়েছে।ঈদে শপিংমল, মার্কেট ও রাস্তাঘাটে মানুষের ভিড়ও উপস্থিতি বেশি থাকার কারনে এর প্রভাব এখন পড়েছে।