আরিফ গাজী :
‘টেলিফোনে মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় কাজ। লাশের গোসল থেকে শুরু করে দাফনসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আমরা যখন ঘরে ফিরি, তখন জীবিত আছি কি না? সেটাই বুঝতে পারি না। সুরক্ষা পোশাক পিপিই, হাতে গ্লাভস, চোখে চশমাসহ সকল পোশাক পরে গরমের মধ্যে কাজ করা যে কতটা কষ্টসাধ্য, তা বলে বোঝানো যাবে না। একেক সময় দমবন্ধ হয়ে আসে। লাশের গোসল দিয়ে কবরস্থানে কবর দেওয়া পর্যন্ত বেশির ভাগ সময় মৃত ব্যক্তিদের স্বজনেরাও ভয়ে কাছে আসেন না। তবে আমরা ভয় পাই না। এই মৃত ব্যক্তিরা তো আমাদেরই কারও না কারও আত্মীয়-স্বজন।’
বুধবার সকালে কুমিল্লার মুরাদনগর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া বাচ্চু চৌধূরীর লাশ দাফনের পর কথাগুলো বলেন মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মোঃ রুহুল আমিন।
মৃত বাচ্চু চৌধূরী কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরের কলেজপাড়ার মৃত আবদুল কাদেরর ছোট ছেলে ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী কৃষকলীগের সদস্য, মুরাদনগর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন চৌধূরীর ছোট চাচা।
জানা যায়, আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ’র নির্দেশনায় করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকেই কোভিড ১৯এ আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের দাফনের জন্য উপজেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে ১১জন সদস্যের একটি কমিটির ঘোষণা দেন উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মোঃ রুহুল আমিন।
তার পর থেকেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল আলমের সহযোগীতায় মৃত প্রায় সকল ব্যক্তিদের লাশ দাফন করে আসছে তারা।
কমিটির সদস্যরা হলো, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মোঃ রুহুল আমিন, সদস্য মাওঃ আবুল বাশার, মাহাবুল হক, মোমেন, নাসির, আলাউদ্দিন, বাবু, মামুন, ইয়াসিন, মাসুম, সাইফুল।