কুমিল্লায় করোনা প্রতিরোধে ঝুঁকি নিয়ে সার্বক্ষণিক কাজ করছে পুলিশ সদস্যরা

খায়রুল আহসান মানিক :

করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধর এই দুর্যোগের সময় কুমিল্লা জেলা পুলিশ ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। সুযোগ্য পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বি পি এম (বার) পি পি এম নেতৃত্বে পুলিশের সকল স্তরের ২ হাজার ৩ শ’ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন কুমিল্লাবাসীর কল্যাণে। পুলিশ সদস্যরা বর্তমানে তাদের দৈনন্দিন কাজের ৮০ ভাগই করছে করোনা নিয়ে। মার্চ মাসে প্রবাস থেকে দেশে আসা ১৫ হাজার ২৫৩ জন প্রবাসীর মধ্যে খোজ নিয়ে ৯ হাজার ৮১৩ জনের বাড়িতে পুলিশ গেছে। এর মধ্যে ৯ হাজার ১৫৭ জনকে বাড়ীতে হোম কোয়ারেন্টাইনে পেয়েছে। এ সময় তাদের শাররীক অবস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। হোম কোয়ারেন্টানে থাকার নিয়ম – কানুন বুঝিয়ে বলেছে। এসব প্রবাসীদের বাড়ীর পাশের ৫ জনের ফোন নাম্বার নিয়েছে পুলিশ। প্রবাসীদের ব্যপারে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে কোয়ারেন্টাইনে আছে কিনা তা খোঁজ নিচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলা পুলিশের পক্ষথেকে করোনাভাইরাস সর্ম্পকিত নিয়মকানুন সম্বলিত ৫০ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে মানুষের মধ্যে। এ ছাড়াও তাদের মধ্যে হেন্ড সেনেটাইজার ও মাস্ক বিতরণ করেছে। নিয়মিত খোজ-খবর নেওয়ার কাজ করে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের সাথে সমন্বিতভাবে করোনা রোধে কাজ করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বিনামুল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। খাদ্য সামগ্রীর আরো ৩ হাজার প্যাকেট মওজুদ রাখা হয়েছে। প্রতি প্যাকেটে রয়েছে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি পেঁয়াজ ও আধা কেজি সয়াবিন তেল। এ সকল প্যাকেট প্রতি থানার ওসি ও ফাড়ির ইনচার্জের মাধ্যমে ঐ সকল এলাকার হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে। অসাধুব্যবসায়ীদের কারসাজিতে বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃ্িদ্ধ ঠেকাতে বাজার মনিটরিংয়ে সহযোগিতা করছে। একই সাথে জেলা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার নিয়মিত দায়িত্বও পালন করছেন। এক সপ্তাহ পরে খাদ্যদ্রব্যের অভাব দেখা দিলে চুরি Ñ ডাকাতির আশঙ্কা রয়েছে সে বিষয়ে পুলিশের পূর্ব প্রস্তুতি রয়েছে। করোনা রোধের কাজে ব্যবহারের জন্য পুলিশ সদ্যদের জন্য ১ হাজার ২ শত রেইনকোট মওজুদ রাখা হয়েছে। যা দিয়ে পা থেকে মাথা পর্যন্ত নিজকে আবৃত্ত রাখা যাবে। এ ছাড়াও আরও সুরক্ষা পোশাক তৈরী করা হচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে কোন পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হলে তার যথাযথ সেবা নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। পুলিশ হাসপাতালে অসুস্থ পুলিশদেরকে রাখার জন্য বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঈুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগে অন্য কোন সেবাদানকারী সংস্থার চাইতে পুলিশ পিছিয়ে নেই। এমনিতেই দেশবাসীর বিপদে আপদে পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত। বর্তমান পরিস্থিতি মানুষের সেবা পিছিয়ে থাকবেনা। আমরা সেবার মানষিকতা নিয়ে মাঠে নেমেছি। করোনা প্রতিরোধে আমরা সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবো। সরকারের সকল নির্দেশনা মেনে সর্বপরি প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক দিক নির্দেশনা আমরা শেষ পর্যন্ত কাজ করে যাবো। এতে জীবন বীপন্ন হলেও পুলিশ সদস্যরা পিছপা হবে না। এ কাজে আল্লাহ্ তায়লা আমাদের সহয়তা করবে।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
error: ধন্যবাদ!