তানভীর আশ্রাফ ভুইয়া :
কুমিল্লা মুরাদনগরে লক ডাউন এর আওতায় থাকা পরিবার গুলোর মধ্যে খাবার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। প্রথমদিকে সামান্য কিছু খাবার উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের থেকে দেওয়া হলেও সেই খাবার শেষ হয়েছে অনেক আগে।
চরম খাদ্য সংকটের মদ্যদিয়ে দিন পার করছে করোনায় লকডাউনে থাকা দরিদ্র দুই পরিবারের সদস্যরা। কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর গ্রামের করোনা আক্রান্ত এ দুই পরিবার সদস্যরা দ্রুত সহযোগিতা চেয়েছেন।
লক ডাউনে থাকা আলাউদ্দিন ভুইঁয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান তাদের দুরঅবস্থার কথা। গত ১৮ দিন ধরে তারা করোনা আক্রান্ত রোগী হিসেবে লক ডাউন এর আওতাধীন আছেন। সে আরও জানায় আমি পেশায় একজন রিকশা চালক আমার পরিবারে সদস্য সংখ্যা মোট আট জন। আমিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারি বাক্তি। আমি একদিন রিকশা না চালালে পরেরদিনের খাবার জোগার করতে হিমসিম খেতে হয়। আর আমার কোনো টাকা জমা নেই।
এ সময় আমাদের পক্ষে খাবার খেয়ে বেঁচে থাকা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা গত ১৮ দিনে ১০ কেজি চাউল ৫ কেজি আলু ১কেজি পেয়াজ ১ কেজি ডাল এবং ১ কেজি তেল পেয়েছি। যা আমাদের চলার জন্য অতি সামান্য। এই অবস্থায় আমাদের সরকার, জনপ্রতিনিধি ও বিত্তশীলদের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
এ বিষয়ে ১৪ নং নবীপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবুল খায়েরকে মুঠোফোনে জানালে তিনি যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আস্বাস প্রদান করেন। কিছু সময় পর করোনা আক্রান্ত আলাউদ্দিন ভুইঁয়ার সাথে মুথোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এইমাত্র চেয়ারম্যান সাহেব আমাদের জন্য কিছু থাদ্যদ্রব্য পাঠিয়েছেন।