১১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার

দুই মন্ত্রণালয়ের টানাটানিতে দেশে কিট সংকট, বন্ধ আমদানি

  • তারিখ : ০৫:২৭:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২০
  • / 263

অর্থের অভাবেই আটকে আছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ টেস্টের কিট আমদানি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বলছে, কিট সরবরাহ করলেও এখনো একটি টাকাও পরিশোধ করেনি কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএইচডি)। তাই বন্ধ তাদের আমদানি। বিকল্প হিসেবে ছোট ছোট লটে কিট আমদানি করছে সিএমএইচডি। অধিদপ্তরের হিসেবে গত তিন মাসে কিট এসেছে সাত লাখের বেশি। বর্তমান মজুদ প্রায় ত্রিশ হাজার, শনি-রবিবারে আসবে আরও একটি লট।

কিটের সরবারহ নেই তাই বন্ধ করোনা টেস্টের বুথ। কোথাও আবার নির্দিষ্ট সংখ্যার বাইরে চাইলেও টেস্ট করা সম্ভব হচ্ছে না। দেশজুড়ে রোগী বাড়লেও সেই তালে বাড়ছে না টেস্টের সংখ্যা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, এ পর্যন্ত সাত লাখের বেশি কিট আনা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ লাখ বিভিন্ন ভেন্ডরের মাধ্যমে ক্রয় করেছে কেন্দ্রীয় ঔষাধাগার সিএসএইচডি। বাকি দুই লাখ এসেছে বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে।

কয়েক দফা একাধিক প্রতিষ্ঠান কিট সরবারহ করলেও এখনো তাদের একটি টাকা বিলও পরিশোধ করেনি সিএমএইচডি। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, টাকা না পেয়ে তারা নতুন করে আর এলসি খুলছেন না, তাই তারা বন্ধ রেখেছেন কিট আমদানি।
ওএমসি লিমিটেডে পরিচালক মারুফ আহমেদ বলেন, এখন এমন একটা অবস্থা কোম্পানি বন্ধ করে দিয়ে ওদিক সাপ্লাই দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ঔষধাগারতো কাউকে কোন বিলই দিচ্ছে না। বলে যে প্রসেসিং-এ আছে, এই কথাতে মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদের দোহাই দেয়া হয়। আমরা তো কোন তহবিল পাচ্ছি না তাই অর্ডারও দিতে পারছি না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনা মোকাবিলায় ৯০০ কোটি টাকা বাজেট থাকলেও হাতে পেয়েছে মাত্র আড়াই’শ কোটি টাকা। বাজেটের অন্তবর্তীকালীন সময় হওয়ায় বাকি বরাদ্দ পেতে রয়েছে কিছু জটিলতা। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোন বক্তব্য মেলেনি।

চলতি মাসের শেষের দিকে সঙ্কট মিটবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, সরকারের ক্রয় প্রক্রিয়া ৩০ জুনের পরে আমরা একটা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর তৈরি করবো। তারপরে একসাথে অনেক দিনের জন্য কিনে এনে মজুদ করতে পারবো।

বিডি প্রতিদিন

শেয়ার করুন

দুই মন্ত্রণালয়ের টানাটানিতে দেশে কিট সংকট, বন্ধ আমদানি

তারিখ : ০৫:২৭:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২০

অর্থের অভাবেই আটকে আছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ টেস্টের কিট আমদানি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বলছে, কিট সরবরাহ করলেও এখনো একটি টাকাও পরিশোধ করেনি কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএইচডি)। তাই বন্ধ তাদের আমদানি। বিকল্প হিসেবে ছোট ছোট লটে কিট আমদানি করছে সিএমএইচডি। অধিদপ্তরের হিসেবে গত তিন মাসে কিট এসেছে সাত লাখের বেশি। বর্তমান মজুদ প্রায় ত্রিশ হাজার, শনি-রবিবারে আসবে আরও একটি লট।

কিটের সরবারহ নেই তাই বন্ধ করোনা টেস্টের বুথ। কোথাও আবার নির্দিষ্ট সংখ্যার বাইরে চাইলেও টেস্ট করা সম্ভব হচ্ছে না। দেশজুড়ে রোগী বাড়লেও সেই তালে বাড়ছে না টেস্টের সংখ্যা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, এ পর্যন্ত সাত লাখের বেশি কিট আনা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ লাখ বিভিন্ন ভেন্ডরের মাধ্যমে ক্রয় করেছে কেন্দ্রীয় ঔষাধাগার সিএসএইচডি। বাকি দুই লাখ এসেছে বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে।

কয়েক দফা একাধিক প্রতিষ্ঠান কিট সরবারহ করলেও এখনো তাদের একটি টাকা বিলও পরিশোধ করেনি সিএমএইচডি। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, টাকা না পেয়ে তারা নতুন করে আর এলসি খুলছেন না, তাই তারা বন্ধ রেখেছেন কিট আমদানি।
ওএমসি লিমিটেডে পরিচালক মারুফ আহমেদ বলেন, এখন এমন একটা অবস্থা কোম্পানি বন্ধ করে দিয়ে ওদিক সাপ্লাই দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ঔষধাগারতো কাউকে কোন বিলই দিচ্ছে না। বলে যে প্রসেসিং-এ আছে, এই কথাতে মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদের দোহাই দেয়া হয়। আমরা তো কোন তহবিল পাচ্ছি না তাই অর্ডারও দিতে পারছি না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনা মোকাবিলায় ৯০০ কোটি টাকা বাজেট থাকলেও হাতে পেয়েছে মাত্র আড়াই’শ কোটি টাকা। বাজেটের অন্তবর্তীকালীন সময় হওয়ায় বাকি বরাদ্দ পেতে রয়েছে কিছু জটিলতা। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোন বক্তব্য মেলেনি।

চলতি মাসের শেষের দিকে সঙ্কট মিটবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, সরকারের ক্রয় প্রক্রিয়া ৩০ জুনের পরে আমরা একটা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর তৈরি করবো। তারপরে একসাথে অনেক দিনের জন্য কিনে এনে মজুদ করতে পারবো।

বিডি প্রতিদিন