নিজস্ব প্রতিবেদক:
নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের শেষ মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুপুর ২ টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।এর আগে বেলা ১ টা থেকে জনস্রোতে পল্টনে দুই পাশের সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ছিলো না তিল ধারনের জায়গা।
জানাজায় আসা নেতারা বলছিলেন, এতো লোক, এতেই প্রমাণ করে খোকা কতো জনপ্রিয় ছিলেন!এতো জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী প্রতিহিংসারর শিকার হয়ে বিদেশের মাটিতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে হয় খোকাকে।
খোকার মরদেহ পৌছার পর লাশবাহী গাড়ির কাছে যেতে চরম বেগ পেতে হয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনুকে।
মরদেহের কাছে পৌছে জানাজার আগে সবাই শৃঙ্খলা ভাবে দাড়াতে অনুরোধ করেন মহাসচিব। বলেন, আজ আমাদের জন্য শোকের দিন।তিনি ৫ বছর দেশের বাইরে ছিলেন। তিনি প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। তিনি যুদ্ধ করে এদেশে স্বাধীন করেছেন।সেই দেশের মাটিতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে পারেন নি।
তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও কারাগারে। তিনি তাকে শেষ দেখা দেখতে পারলেন না।
সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন বলেন, বাবার কাছে গিয়ে আমি দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম।তখন বাবা সামান্য কথা বলতে পারতেন।তখন তিনি বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপাসনের কথা ছাড়া তিনি কিছু করবেন না। তিনি বলেছেন,সরকারের সাথে লিয়াজো করে দেশে আসবেন না।তিনি মারা গেলে তারপর যেন তার লাশ আসে। বাবা বলেছিলেন শেষ বয়সে দালাল হয়ে মরতে চাই না।
জানাজার পর বিএনপির নেতা কর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকলের ভালোবাসায় সিক্ত অভিবক্ত ঢাকার এ সাবেক মেয়র।
এর আগে বেলা সকালে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে বেলা ১২ টায় সর্বস্থরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনারে আনা হয়। সেখানে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সারিবদ্ধ ভাবে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পল্টনে জানাজার পর নেওয়া হবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। সেখানে বেলা ৩ টায় নামাজে জানাজার পর ধুপখোলা মাঠে জানাজার জন্য নেওয়া হবে। বিকেলেই জুরাইনে দাফন করা হবে।
ক্যান্সারে আক্রান্ত খোকা নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় ৪ নভেম্বর দুপুরে মারা যান। ৭ নভেম্বর সকাল তার মরদেহ দেশে আনা হয়।২০১৪ সাল থেকে চিকিৎসার জন্য তিনি নিউইয়র্কে ছিলেন