আকবর হোসেন :
সারা দেশের মতো চলতি মৌসুমের আগাম ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। ধানের বাম্পার ফলন হলেও করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে যানবাহন চলাচল না করায় ধান কাটা শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক ও শ্রমিকের সংকটে ধান কাটতে না পারায় বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে কুমিল্লা লাকসাম গাজীমুড়া ৭নং পৌর এলাকায় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রাজুসহ অন্যান্য কর্মীবৃন্দরা।
করোনা পরিস্থিতিতে ধান কাটার শ্রমিক না পাওয়ায় বর্তমানে ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরাই কৃষকদের ভরসা। কৃষকের ধান কাটা, বাড়ি নিয়ে দিচ্ছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বুধবার ভোর থেকে লাকসাম ৭নং ওয়ার্ডের গাজীমুড়া কৃষক বাবুল মিয়া,জয়নাল মিয়া ও মোমিন মিয়ার জমির বোরো ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দেন নেতাকর্মীরা। নবাব ফয়েজুন্নেসা সরকারি কলেজের সাবেক আহবায়ক ও লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রাজুর নেতৃত্বে ২০ জন নেতাকর্মী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে এ কাজ করেন।
দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে পেরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেমন খুশি, তেমনি ধান কেটে দেয়ায় খুশি এলাকাবাসী ও কৃষকরাও। কৃষক বাবুল মিয়া, জয়নাল মিয়া,মোমিন মিয়া বলেন, ধান কাটার সময় সাধারণত ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পারিশ্রমিকে শ্রমিক পাওয়া যেত। করোনা পরিস্থিতিতে এক হাজার টাকায়ও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না, সেই সাথে অর্থের অভাবে নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো সমস্যায় আছে। তাই পাকা ধান নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু আমাদের এই সংকটময় মুহূর্তে বিনা পারিশ্রমিকে স্বেচ্ছাশ্রমে লাকসাম ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রাজুসহ ছাত্রলীগের কর্মীরা ধান কেটে বাড়ি নিয়ে দিচ্ছে।
নবাব ফয়েজুন্নেসা সরকারি কলেজের সাবেক আহবায়ক ও লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রাজু বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে কুমিল্লা লাকসামসহ সর্বত্র ধান কাটার শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। শ্রমিক না পাওয়ায় নিজ জমির পাকা ধান কাটতে পারছে না কৃষকরা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আমাদের প্রিয় নেতা স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব মো. তাজুল ইসলাম মহোদয় এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের নির্দেশে সকাল থেকে গাজীমুড়া ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ধান কাটতে সহযোগিতা করছি। এ কার্যক্রম কৃষকরা ধান ঘরে না তোলা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।