কুমিল্লায় অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে চার ঘন্টা কলেজ অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ!

মো.জাকির হোসেন :

অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায়ের অভিযোগ এনে কলেজ অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করলো সাধারণ শিক্ষর্থীরা। সোমবার সকাল ১০ টায় জেলার বুড়িচং উপজেলার নিমসার জুনাব আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে কলেজে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা প্লেকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করছে। পরে কলেজ চত্বরে অধ্যক্ষকে অপসারণ করার দাবিতে স্লোগান দিয়ে মিছিল করে।

অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, কক্ষের বাহিরে নতুন তালা ঝুলছে। কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফয়েজ জানান, অধ্যক্ষ মামুন মিয়া মজুমদার বাড়তি ফি আদায় করছেন।

প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আলাউদ্দিন জানান, ভর্তির সময় ১ হাজার টাকা করে নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরে এখন আবারো ভর্তি ফিসহ উন্নয়নের কথা বলে বাড়তি ২৫০০ টাকা আদায় করছে। যা অন্যায় ও অযৌক্তিক।

প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাইম ইসলাম বলেন আমাদেরকে চাপ দিয়ে বাড়তি টাকা আদায় করছে। আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অসহায়।
প্রথম বর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসান বলেন কলেজে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছে সাত শতাধিক শিক্ষার্থী। কলেজের মনোগ্রামযুক্ত বেজের জন্য ১ শ ভর্তি ফরমের জন্য ১ শ উন্নয়ন ফি নামে ১ হাজার, মসজিদ উন্নয়ন ফি নামেও টাকা আদায় করছে।

কলেজের অভিভাবক সদস্য আনিসুর রহমান ও গোলাম মোস্তফা জানান, অতিরিক্ত ফি আদায় করছে এমন অভিযোগ রয়েছে। অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে কলেজের গর্ভনিং বডির অভিভাবক সদস্য হিসেবে আমাদের কিছুই জানানো হয় নি। আইন অনুযায়ী না করে কলেজের অধ্যক্ষ বিভিন্ন সময় নানান স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজকের পরিস্থিতির জন্য অধ্যক্ষ মামুন সাহেব দায়ী।

বিষয়টি নিয়ে মোকাম ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুল মুন্সি বলেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অসত্য নয়। এসব বিষয়ে সংসদ সদস্যসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষ জানেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাংসদ মহোদয়কে অনুরোধ করেছি।

বিষয়টি নিয়ে কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, পুরাতন রেজুলেশন অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি চলছে। করোনার কারনে পুরো টাকা দিতে নিষেধ করা হয়েছে। এখন যেহেতু করোনার প্রকোপ কমে আসছে তাই বাকি টাকা দেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছে। এর বেশী কিছু না।

বিষয়টি নিয়ে নিজ কক্ষে অবরুদ্ধ থাকা কলেজ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মামুন মিয়া মজুমদার মোবাইল ফোনে বলেন, কলেজের সাবেক ও বহিরাগত ছাত্ররা আমাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আমি কলেজ গর্ভনিং বডির সিদ্ধান্তের বাহিরে কিছু করতে পারি না। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এদিকে কলেজে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। বুড়িচং থানার উপ-পরিদর্শক ডালিম জানান, খবর পেয়ে কলেজে এসে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার পরামর্শ দেই।

কলেজের সভাপতি বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন জানান, আমি ঘটনা শুনে কলেজে আসি এবং শিক্ষর্থীদের সাথে কথা বলেছি। নিয়ম বহির্ভূত কোন ফি আদায় করা হবে না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
error: ধন্যবাদ!