নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঈদ পরবর্তী মহামারি করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান ব্যতিত সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকার কথা থাকলেও সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকানগুলোতে জমজমাট আড্ডা কারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষ। বুধবার,বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে এ অভিযান। কুমিল্লা সদর দক্ষিণের
রাজাপাড়া,লক্ষিনগর,দয়াপুর,ডুমুরিয়া,লইপুরা, সুয়াগাজী বাজার,পিপুলিয়া বাজার, তালপট্টি, মথুরাপুর,লালবাগ বাজার,
বামিশা,গজারিয়া,টঙ্গীরপাড়,আলমপুর,অলির বাজার,সিন্দুয়া চৌমুহনীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চৌমুহনীগুলোতে কঠোর অভিযান পরিচালনা করেছেন। এ সময় পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন ইউএনও শুভাশিস ঘোষ। লকডাউন বাস্তবায়নে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
করোনার ভয়াভয় এ পরিস্থিতিতে অপ্রয়োজনে ঘুরাফেরা করা এবং চা দোকানে দলবেঁধে আড্ডাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল। এ অভিযানের ধারা অব্যাহত রাখারও দাবি জানান স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষ জানান,ভয়াভয় করোনার এ পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রশাসনের লোকজন মাঠে থেকে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করছে। লকডাউন বাস্তবায়নের পাশাপাশি কর্মহীন হয়ে পরা সিএনজি শ্রমিকদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী পোঁছে দিচ্ছি। কুমিল্লার কোন মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগবে না।
প্রশাসন এ দেশের মানুষের শত্রু নয়,বরং প্রকৃত বন্ধু। প্রশাসন আপনার ও আপনার পরিবারের সদস্যদের মঙ্গল চায় বিধায়,বিনা প্রয়োজনে কাউকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করছে।
সমাজের যে কোন মানুষ ৩৩৩ নাম্বারে ফোন দিলে প্রশাসন তাদের দোরগোড়ায় গিয়ে খাদ্য পৌঁছে দিবে।তাই আপনার সকলে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন। নিজে ভালো থাকুন,পরিবার-পরিজন ও দেশের মানুষকে ভালো রাখুন। কুমিল্লা জেলা প্রশাসন আপনাদের পাশেই রয়েছে।