নিজস্ব প্রতিবেদক।।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। ফলে জেলা পরিষদ নির্বাচনে অনেক ভোটার প্রথমবারের মতো ইভিএম-এ ভোট দিয়েছেন। ভোট দেয়ার পর তারা অনেক সহজ ও ঝামেলামুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন ভোটাররা।
এদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় সাধারণ সদস্য পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রহিম বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
লালমাই উপজেলা থেকে সাধারণ সদস্য পদে আমির হোসেন মেম্বার (তালা) প্রতীক নিয়ে ৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ বিল্লাল হোসেন (ঘুড়ি) প্রতীক নিয়ে ৪৬ ভোট এবং হাজী আমির হোসেন (টিউবওয়েল) প্রতীক নিয়ে ২৫ ভোট পেয়েছেন।
১৭ অক্টোবর সোমবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদর দক্ষিণ উপজেলা কেন্দ্রের ভোটার উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আক্তার পুতুল বলেন, ইভিএমে খুবই সহজে ভোট দিয়েছি। সামনেও ইভিএমে ভোট চাই। ব্যালট পেপারে ভোট দিতে হয় সিল মেরে। এরপর কাগজ ভাঁজ করে ব্যালটবক্সে ফেলানোর সময় সিলের কালি অন্য ঘরেও ছাপ পড়ে। এতে ভোট গণনার সময় বিপত্তি দেখা দেয়। ব্যালট পেপার নিয়ে ভোট দিতে সময়ও অপচয় হয়। এসব কারণে ব্যালট পেপারের চেয়ে ইভিএমে ভোট প্রদান সহজ।
বিজয়পুর ইউনিয়ন পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মোতালেব বলেন,ইভিএমে খুবই সহজে ভোট দিয়েছি। সামনেও ইভিএমে ভোট চাই। ইভিএমে ভোট নেওয়া খুব ভালো পদ্ধতি। ভোট নষ্ট হওয়ার চান্স থাকে না।
গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোঃ আনাস মেম্বার জানায়, ইভিএম পদ্ধতিটা আধুনিক। বেশ সহজ, ভালোই লাগছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটাই তার প্রমাণ। মোটকথা, ভোট বাদ পড়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। জাতীয় নির্বাচনেও ইভিএম চাই।
লালমাই উপজেলা কেন্দ্রে ভোট দিয়ে ফেরার পথে পেরুল উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান দিলীপ চন্দ্র সিংহ নামের এক ভোটার জানান,ইভিএমে ভোট প্রদানে প্রথমে আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভোটারের নাম শনাক্ত করা হয়। ল্যাপটপের স্ক্রিনে ছবিসহ ভোটারের নাম এলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত বোতামে চাপ দিয়ে চূড়ান্ত করেন। এরপর গোপন কক্ষে ইভিএম মেশিন থাকে। এতে প্রার্থীর প্রতীক থাকে। সেখানে পছন্দের প্রার্থীকে বোতামের চাপ দিতে হবে। এরপর স্ক্রিনে পছন্দের প্রতীক দেখা যায়। ইভিএম মেশিন থেকে আপনি কোথায় ভোট দিলেন সেটাও দেখাচ্ছে। এরপর সবুজ বোতাম (নিশ্চিত ভোট) চাপ দিলেই ভোট সম্পন্ন হয়ে যায়। এইভাবে প্রার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী ভোট দিতে হয়।