চলে গেলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের শুরুর দিকের অন্যতম কান্ডারি রেজা-ই-করিম।
রোববার ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে নাজমুল করিম। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
গত কয়েক দিন ধরে বেশ অসুস্থ বোধ করায় রেজা-ই-করিমকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন তার পরিবার। রোববার ফজর নামাজের সময় তিনি ইন্তেকাল করেন।
আজ ফার্মগেটের বাইতুশ শরফ জামে মসজিদে বাদ জোহর রেজা-ই-করিমের জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন নাজমুল করিম।
উল্লেখ্য, রেজা-ই-করিম বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রথম কার্যনির্বাহী সম্পাদক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক। দেশের মাটিতে তিনিই ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ আম্পায়ার।
আশির দশকে জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন রেজা-ই-করিম। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে তিনি বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশের ক্রিকেট যখন শিশু, তখন থেকেই প্রায় এক হাতে দেশের ক্রিকেটকে টেনে নিয়ে গেছেন রেজা। বিদ্যুৎহীন বোর্ড অফিসে বসে মোমবাতির আলোয় ক্রিকেটের জন্য কাজ করে গেছেন।
সরকার ও দেশের ধনীদের কাছে ধরনা দিয়ে ক্রিকেটের সরঞ্জাম কিনেছেন, খেলোয়াড়দের আর্থিক চাহিদা মিটিয়েছেন।
দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশের ক্রিকেট যখন ‘শূন্য’থেকে শুরু হতে যাচ্ছিল, তখন রেজা-ই-করিম ছিলেন সেই সময়ের অন্যতম বাতিঘর।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের আইসিসির সহযোগী সদস্যপদ পাওয়ার পেছনে রেজা-ই করিমের অবদান রয়েছে। ১৯৭৭ সালে বিখ্যাত মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) বাংলাদেশ সফর করে। সেটিই ছিল কোনো বিদেশি ক্রিকেট দলের প্রথম বাংলাদেশ সফর। এমসিসিকে যে আমন্ত্রণপত্রটি পাঠানো হয়েছিল, সেটির খসড়াও করেছিলেন রেজা-ই-করিম।