কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে চৌদ্দগ্রামে আনা হয়েছে আধুনিক মেশিন

সোহাগ মিয়াজী।।
করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে দেশের বিভিন্ন জেলা লকডাউন থাকায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এ বছর পর্যাপ্ত পরিমান আসেনি বহিরাগত শ্রমিক। এ উপজেলায় কৃষকের স্বপ্নের সোনালী ধান ঘরে তুলতে দেখা দিয়েছে কৃষি শ্রমিক সংকট। এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে সময় মত কৃষকে বোরো ধান ঘরে তুলতে বর্তমান সরকারের ভর্তকি মূল্যে উপজেলার কৃষকদের মাঝে দেওয়া হয়েছে ধান কাটার ২টি আধুনিক যন্ত্র (কম্বাইন হারভেস্টার) মেশিন। যার ফলে ঘন্টাখানেকের মধ্যে এবং অর্ধেক খরচে কৃষক তার এক একর জমির ধান কেটে ও মাড়াই করে ঘরে ফিরতে পারবেন। ইতিমধ্যে চৌদ্দগ্রামে সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বোরো ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে।

শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদ মাঠ থেকে কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্রের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবিএমএ বাহার,উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ আবদুল্লাহ আল মামুন,শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ জালাল মজুমদার,অন্যন্যাদের মধ্যে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ আতিকুর রহমান।

কম্বাইন হারভেস্টার গ্রহীতা তোফায়েল ও ইদ্রিস মিয়ার এলাকার কৃষক কৃষাণীবৃন্দ।প্রধান অতিথি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় বোরো ফসল ঘরে তুলতে শ্রমিক সংকট দেখা দিতে পারে। আর এই আশংকায় যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ফসল কর্তন ও মাড়াই শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় বর্তমান সরকারের ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন হারভেস্টার, রিপার সহ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এই যন্ত্র দিয়ে স্বল্প খরচে ঘণ্টায় এক একর জমির ফসল কর্তন ও মাড়াই করতে পারবে কৃষক।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, উপজেলার কোথাও বোরো ধান সংগ্রহে শ্রমিক সংকট দেখা দিলে উপজেলা কৃষি অফিসার অথবা নিজ দায়িত্বে থাকা উপ সহকারী কৃষি অফিসার অথবা কম্বাইন হারভেস্টার গ্রহীতা তোফায়েল ও ইদ্রিস মিয়ার সাথে কৃষকরা যোগাযোগ করে অল্প খরচে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের সেবা নিতে পারেন।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
error: ধন্যবাদ!