সোহাগ মিয়াজী :
চৌদ্দগ্রামে বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রামণ রোধে সরকারি নির্দেশনায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন ইউএনও মাসুদ রানা। করোনা ভাইরাস যখন পুরো পৃথিবী সহ বাংলাদেশ মহামারি আকার ধারণ করেছে সরকার থেকে নির্দেশনা আসলো সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সকলকে হুম কোয়ারান্টাইন মেনে চলতে হবে। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রথম ধাপে ইউএনও মাসুদ রানা রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী দল গুলোর পাশাপাশি বিভিন্নভাবে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছেন এই উপজেলায়।পরর্বতীতে যখন করোনা কে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে উঠেপড়ে লেগেছে ঠিক তখনই তিনি নিজেই উপজেলার প্রতিটা বাজারে বাজারে ঘুরেঘুরে দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন।জরুরি সেবার জন্য তিনি সরকারি নাম্বারের পাশা পাশি তার ব্যক্তিগত নাম্বারটি খোলা রেখেছেন।করোনা রোগিকে জরুরি সেবা প্রদানের জন্য তার ব্যবহৃত সরকারি গাড়িটি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারদের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করেন। যেখানে করোনা উপসর্গ রোগির সন্ধান পেয়ে থাকেন জরুরি ভিত্তিতে ঐই এলাকায় করোনা ভাইরাস মোকাবিলা লক ডাউনের আওতাধীন নিয়ে আসছেন। দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ৩১ দফা নির্দেশনা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলে তিনি বলেন পাশাপাশি জনসমাগম রোধে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের মহামারি রূপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে বলেও মনে করছেন। করোনা ভাইরাস মোকাবিলা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা সাংবাদিক সোহাগ মিয়াজীকে এক সাক্ষাৎতে বলেন আমরা চৌদ্দগ্রাম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ভাবেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হচ্ছে। ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ত্রাণ সামগ্রী। ভাইরাস নিয়ে গুজব ছড়ানোর প্রমাণ পেলেই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে করা হচ্ছে জরিমানা। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে জরুরী ভিত্তিতে সেনাবাহিনী,পুলিশ যুক্ত হয়েছে করোনা মোকাবিলার কাজে এবং উপজেলা প্রশাসনের সাথে তারা সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছেন।করোনা সচেতনতায় প্রচারণার পাশাপাশি মানুষের মুখে মাস্ক ব্যবহার এবং হাত পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে সচেতন করা হচ্ছে। বন্ধ করা হয়েছে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ও যান চলাচল।প্রাণঘাতি এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সবার আগে দরকার জনসচেতনতা।চৌদ্দগ্রামের প্রত্যেক ইউনিয়নে ১০/১২ জনের একটি স্বেচ্ছাসেবক গ্রুপ করা হয়েছে।যারা ৫টি মোটরসাইকেলের সাহায্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে।এছাড়াও এই স্বেচ্ছাসেবক গ্রুপ কোয়ারান্টাইন লক ডাউন সহ অন্যান্য কাজে উপজেলা প্রশাসন এবং থানা পুলিশের সাথে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছে। আসুন, সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের স্বার্থে, পরিবার ও সমাজের স্বার্থে সবাই ঘরে থাকি, নিরাপদ থাকি।