মাজহারুল ইসলাম নোমান :
জিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা মহান আল্লাহ তায়ালা কে খুশির জন্য কুরবানির জন্য পশু ক্রয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করার মাধ্যমে সীমিত পরিসরে কুরবানির পশু হাটগুলো বসার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাটগুলো বসতে শুরু করেছে।
সোমবার দুপুরে ঐতিহ্যবাহী সুয়াগাজী বাজার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছোট,বড়,মাঝারী সহ বিভিন্ন আকৃতি ও ভিন্ন ভিন্ন রংয়ের দেশীয় গরু উঠেছে। পুরো বাজার জুড়ে ছিল আকর্ষনীয় সকল কুরবানির পশুর সমাহার।
বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিক্রেতাও চোখে পরেছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন বাজার কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসন। যোগাযোগ ব্যবস্থা সুবিধাজনক হওয়ায় বাজারটি ঈদ উল আযহা পশু ক্রয়ে মানুষের নজর কাড়ছে।
সুয়াগাজী গরু বাজারের অন্যতম ইজারাদার ও যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির জানান, করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঐতিহ্যবাহী সুয়াগাজী গরু বাজার পরিচালনা করা হচ্ছে। মাস্ক ব্যতিত কোনো ক্রেতা-বিক্রেতা এ বাজারে প্রবেশ নিষেধ।
আসন্ন ঈদ উল আযহা উপলক্ষে সকল ক্রেতা-বিক্রেতাদের সকল সুযোগ সুবিধা সহ প্রায় শতভাগ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সুয়াগাজী বাজারে ছোট-বড় ও মাঝারী আকৃতির দেশীয় গরু থাকায় ক্রেতা ও বিক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে এ বাজারটি। সকলে নিজেদের পছন্দের কুরবানির পশু ক্রয় করতে সুয়াগাজী বাজার চলে আসুন। আপনাদের সেবা প্রদানে আমরা বদ্ধপরিকর।