আরিফ গাজী :
কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রেমের সম্পর্ক ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের পর বিয়ে না করে মোটা অংকের যৌতুক দাবি করায় আত্মহত্যা করেছেন ইয়াসমিন আক্তার (১৮) নামে এক তরুণী।
নিহত ইয়াসমিন আক্তার উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নোয়াকান্দি গ্রামের বিল্লাল মিয়ার মেয়ে ও উপজেলা সদরের নূরুন্নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এরআগে বুধবার দিবাগত রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
এ ঘটনায় নিহত ইয়াসমিন আক্তারের বাবা বাদী হয়ে জাকির হোসেন ও তার মা মিনুয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করেছে।
অভিযুক্ত জাকির হোসেন (২৪) উপজেলার কামাল্লা ইউনিয়নের নেয়ামতপুর গ্রামের মৃত মোসলেম মিয়ার ছেলে।
ইয়াসমিনের পারিবারিক সূত্র জানায়, অভিযুক্ত জাকির হোসেন নিহত ইয়াসমিন আক্তারের নানার বাড়ীর প্রতিবেশী। সেই সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যা একপর্যায়ে শারীরিক সম্পর্কে গড়ায়। গত এক সপ্তাহ আগে ইয়াসমিনের পরিবার অন্যত্র তার বিবাহ ঠিক করলে সে ঘটনার দিন বুধবার দুপুরে জাকির হোসেনের বাড়ীতে যায়।
সেখানে জাকির হোসেন কে বিবাহ করতে বললে তার মা মিনুয়ারা বেগম ইয়াসমিন আক্তার কে বাবার বাড়ী থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে আসতে বলে। যদি টাকা না নিয়ে আসে তাহলে তার ছেলেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অন্য মেয়েকে বিয়ে করাবে। এ কথা শুনে ইয়াসমিন মতামত জানতে চাইলে জাকির হোসেন বলেন তার মায়ের কথাই তার শেষ কথা।
এক পর্যায় ইয়াসমিন জাকির হোসেন কে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে নিজ বাড়ী চলে আসে। বাড়ী এসে পুরো বিষয়টি বুধবার রাতেই ইয়াসমিন তার বাবা মাকে বলেন। ঘটনাটি শুনার পর তারা ইয়াসমিন আক্তার কে সান্তনা দিয়ে তার নিজ ঘরে ঘুমাতে পাঠায়। পরে বুধবার দিবাগত রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ইয়াসমিন।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাদেকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে মেয়ের বাবা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।