আরিফ গাজী :
কুমিল্লার মুরাদনগরে আব্দুল হক নামের এক রিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন টনকি ইউনিয়নের কমলপুর এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় তার সাথে থাকা অটোরিকশা ও পকেটে থাকা টাকা পাওয়া যায় অক্ষত।
নিহত রিকশাচালক আব্দুল হক (৪১) উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর ত্রিশ গ্রামের মৃত জুলহাস মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় স্ত্রী মালেকা বেগম বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আব্দুল হক মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। মঙ্গলবার রাতে পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তার কোন প্রকার খবর পায়নি। পরদিন বুধবার সকালে উপজেলার টনকি ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামের রাস্তার পাশে একটি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা।
এসময় স্থানীয়রা লাশের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। পরে সেই ছবি দেখেই আবদুল হকের লাশ সনাক্ত করে তার পরিবারের লোকজন।
নিহত রিকশাচালকের স্ত্রী মালেকা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার স্বামী অত্যন্ত সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। প্রতিবেশী কিংবা জায়গা জমি নিয়ে কারো সঙ্গে বিরোধ ছিল না। কি কারণে তাকে খুন করা হলো তা বুঝতে পারছি না। আমার স্বামীর হত্যাকারীদের ফাঁসি আমি মরার আগে দেখে যেতে চাই।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার কুমিল্লা এসডি নিউজ কে বলেন, নিহত আব্দুল হকের পেটের নিচের ডান অংশে আঘাতের চিহ্ন থাকায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে অবাক বিষয় হলো তার লাশের ৩’শ গজের মধ্যেই পড়েছিল অটোরিকশাটি ও পকেটে ছিল ৭৫০ টাকা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। রহস্য উদঘাটনের জন্য কাজ করছি।