এমদাদুল হক সোহাগ :
মহামারী করোনাভাইরাস এর কারণে কুমিল্লা সহ সারাদেশে এ বছর আয়কর মেলা হচ্ছে না তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কুমিল্লা নগরীর নজরুল এভিনিউ সড়কের কর ভবন প্রাঙ্গণে মেলার পরিবেশে আয়কর রিটার্ন দাখিল, ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন, আইনি পরামর্শ, কর তথ্য ও সেবা প্রদান সহ তাৎক্ষণিক প্রাপ্তি স্বীকার পত্র প্রদান করা হচ্ছে। গত ১ নভেম্বর থেকে মেলার পরিবেশে এসব সেবা দিয়ে যাচ্ছেন কর অঞ্চল- কুমিল্লা। কুমিল্লা কর ভবন প্রাঙ্গণে জেলার করদাতারা রিটার্ন দাখিল সহ অন্যান্য সেবার সাথে কর অঞ্চল কুমিল্লার অধিক্ষেত্রাধীন ৬টি জেলা যথাক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরে একইভাবে সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
কর অঞ্চল- কুমিল্লার উপ কর কমিশনার, সদর দপ্তর (প্রশাসন) মোঃ আরিফুল হাসান মজুমদার বলেন, কুমিল্লায় কর ভবনে জেলার প্রায় ১০ হাজার ১৫০ জন সোমবার সকাল পর্যন্ত সেবা গ্রহণ করেছেন। কর অঞ্চল কুমিল্লার ৬ টি জেলায় মোট ৯৮ হাজার ৭৫০ জন করদাতা সেবা গ্রহণ করেছেন।
কর অঞ্চল কুমিল্লার কমিশনার জনাব মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ২০১০ সাল থেকে দেশব্যাপী প্রতি বছর আয়কর মেলা হলেও এবছর মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তবে করদাতা ও সেবাগ্রহীতাদের সুবিধার্থে সেবা মাস নভেম্বরে মেলার পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়কর রিটার্ন গ্রহণ, ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন, আইনি সেবা সহ কর তথ্যসেবা এবং তাৎক্ষণিক প্রাপ্তি স্বীকার পত্র প্রদান করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, অর্থ আইন, ২০২০ মোতাবেক সকল টিআইএনধারীর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক এবং শুধুমাত্র কোম্পানি করদাতা ব্যতীত অন্য সকল করদাতার রিটার্ন দাখিলের সর্বশেষ সময় ৩০ নভেম্বর।
কর ভবন প্রাঙ্গণে করদাতাগণ রিটার্ন দাখিল ছাড়াও রিটার্ন ফরম, চালান ফরম প্রাপ্তি এবং টিআইএন গ্রহণ করতে পারছেন। তিনি আরো বলেন, অর্থ আইন, ২০২০ এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ৫% স্ল্যাব রেটে কর প্রদানের সুবিধা এবং অপ্রদর্শিত জমি, দালান, অ্যাপার্টমেন্ট এবং বিনিয়োগকৃত অর্থ নির্দিষ্ট হারে কর প্রদানের মাধ্যমে প্রদর্শন করার সুযোগ প্রদান করা হয়েছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সময়মতো রিটার্ন দাখিল করে কর অঞ্চল কুমিল্লার সেবা গ্রহণ করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।