মো.জাকির হোসেন :
পৃৃথিবীর নানা প্রান্তে থাকা বাংলাদেশীরা এখন চরম ঝুঁকিতে করোনা আক্রান্তের। এরমাঝে দেশের সর্বাধিক প্রবাসী অধ্যূষিত কুমিল্লা জেলার মানুষ আতঙ্কিত সবচেয়ে বেশী। পৃথিবীজুড়ে করোনা মারাতœকভাবে ছড়িয়ে পড়লে পরিবারের মায়ায় এই মাঝে দেশে ফিরে এসেছেন ১৪ হাজার ১৮৩ জন প্রবাসী। সংক্রামন এড়াতে দেশে আসা প্রবাসীদের সেলফ কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। কিন্তু অনেকেই সেই নির্দেশনা না মেনে পরিবার-পরিজন বাইরে চলাচলা ফেরার অভিযোগ উঠায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রবাস ফেরত ব্যক্তিদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। বিদেশ ফেরত ব্যক্তিরা কোয়ারেন্টাইনে আছে কিনা এ বিষয়টি দেখার জন্য জেলার প্রতিটি থানা,ফাঁড়ি এলাকায় সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তারা সংগীয় ফোর্স নিয়ে দিনরাত কাজ করছে।
জানা যায়, করোনা আতঙ্কে প্রবাস ফেরত লোকদের কাছ থেকে ঝুঁকি এড়াতে সারাদেশের ন্যায় সরকার কুমিল্লার প্রবাস ফেরত লোকদেরর সেলফ কোয়ারেণ্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে অনেকস্থানে প্রকাশ্যে চলাফেরাছাড়াও হাট-বাজার,দোকান-পাটে অবাধে চলাফেরা করছে এসব প্রবাস ফেরত লোকজন। সম্প্রতি অভিযোগটি জেলা পুলিশের নজরে আসলে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে প্রবাস ফেরত লোকজনের তালিকা নিয়ে বিভিন্নস্থানে সরেজমিন ছুটে যাচ্ছে পুলিশের সদস্যরা। গতকাল শুক্রবার রাতে কোতয়ালী মডেল থানার ছত্রখিল ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহিন কাদির আমড়তলী, পাঁচথুবী বিভিন্ন এলাকার বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে প্রবাস ফেরতরা কোয়ারেন্টাইনে আছে কি না ? বাহিরে ঘোরাফেরা করছে কি না ? এসব বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে শাহিন কাদিরসহ তাঁর টিম। একইভাবে বুড়িচং দেবপুর ফাঁড়ির এসআই নন্দন চন্দ্র সরকার সংগীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার মোকাম,ভারেল্লা, ময়নামতি ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায়। এ সময় তারা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে প্রবাস ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। নির্দেশনা দিচ্ছেন সঠিক পন্থায় কিভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে, যাতে করে পরিবারের অন্য সদস্যরা নিরাপদ থাকতে পারে। পাশাপাশি করোনা ভাইরাস বিষয়ে নানা তথ্য জনসাধারণকে অবহিত করছেন। রাতে এরিপোর্ট লেখার সময় দেবপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ সাজ্জাদ হোসেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিমসার এলাকায় প্রবাসীদের সেলফ কোয়ারেণ্টাইনে থাকার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে করোনা প্রতিরোধে কুমিল্লা জেলা পুলিশের গঠিত কমিটির ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা ও কুমিল্লা ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান জানান, কুমিল্লা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম মহোদয়ের সক্রিয় নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে এসবি থেকে প্রবাস ফেরতদের প্রাপ্ত তালিকাকে ৫ টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। অধিক ঝুঁকিপূর্নকে ক গ্রুপ , পর্যায়ক্রমে বাকিদের অন্যগ্রুপে রাখা হয়েছে। এসব তালিকা উপজেলা অনুযায়ী থানা পুলিশের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রবাস ফেরতদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কমপক্ষে ১৪ দিন সঠিক উপায়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার বিষয়টি নিশ্চিতকরণে কাজ করছে জেলা পুলিশ, যাতে পরিবারের অন্য সদস্যরা সংক্রমণ থেকে নিরাপদে বাচঁতে পারে এবং এ ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে।