বেলা ১১টায়ও শিক্ষক আসেননি, শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিলো শিক্ষার্থীরা

জেলা প্রতিনিধি, লালমনিরহাট :

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদীর চরের দুটি স্কুল শৌলমারী ও কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর বিদ্যালয় দুটিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করাতো দূরের কথা, শিক্ষকরাই এসেছেন দেরিতে। আর শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করেছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরাই। শ্রেণিকক্ষেও ছিল না স্বাস্থ্যবিধির বালাই। গাদাগাদি করে বসে ক্লাস করে শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের সামনে বই হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। শ্রেণিকক্ষের চাবি না থাকায় স্কুলে বারান্দায় ভিড় জমায় শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের নিয়োগপ্রাপ্ত দফতরি কাছ থেকে চাবি দিয়ে তালা খুলে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে যায় তারা। তবে শ্রেণিকক্ষে ময়লা-আবজর্না দেখে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই ঝাড়ু হাতে পরিষ্কার করে।

স্কুলে সাংবাদিক আসার খবরে কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি মিজানুর রহমান শ্রেণিকক্ষে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে বসে দেন। তখন ঘড়ির কাঁটায় ১১টা ০৫ মিনিট। তখনও কোনো শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হননি। এই অবস্থায় মোবাইল হাতে নিয়ে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে দেখা যায় দফতরি মিজানুর রহমানকে।

কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি মিজানুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে ক্লাস নিতে হচ্ছে না। স্কুলে স্যাররাও আর আসে না। মাঝে মাঝে স্যাররা দেরিতে আসলে আমাকেই ক্লাস নিতে হয়।’

কিছুক্ষণ পরেই বিদ্যালয়ের মাঠে দেখে মেলে সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকসহ তিনজনকে। প্রধান শিক্ষক সাখওয়াত হোসেন লাভলু বলেন, বন্যা-কবলিত এলাকার কারণে নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয়। নৌকা ঘাটে দেরি হয়েছে তাই বিদ্যালয়ে সঠিক সময় পৌঁছাতে পারিনি। তিনি আরও বলেন, প্রথম ক্লাসের কারণে শিক্ষার্থীদের (পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে) বোঝানো সম্ভব হয়নি। আগামীকাল থেকে সবাইকে পোশাক ও সাবান ব্যবহার করার জন্য বলা হবে।

জাগো নিউজ

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
error: ধন্যবাদ!