মাজহারুল ইসলাম বাপ্পি :
কুমিল্লা মহানগরীতে কৃষি জমির জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে খালের কচুরিপানা অপসারণ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা এবং ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের প্রণোদনা দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে মহানগর কৃষকলীগ আহবায়ক মোঃ খোরশেদ আলমের নেতৃত্বাধীন কৃষকলীগ। মহানগর কৃষকলীগের প্রশংসনীয় এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকসহ সকল পেশার মানুষ।
জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ এর প্রভাবে তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে আমন ধানের ক্ষেতসহ ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে কুমিল্লা মহানগরীর দক্ষিণ অংশের শত শত কৃষকের ক্ষেতে থাকা আমন ধান ও বিভিন্ন রকমের সবজি বৃষ্টির পানির নিচে তলিয়ে যায়।
কৃষকদের এ দূরাবস্থার কথা জানতে পেরে মহানগর কৃষকলীগের আহবায়ক খোরশেদ আলম দলীয় নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কাছে গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নেন। টানা বৃষ্টিতে ফসলি জমিতে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের ব্যাপারে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার কে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করেন।
বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মহানগর কৃষকলীগ আহবায়ক মোঃ খোরশেদ আলম এমপি বাহারের দিকনির্দেশনায় এবং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই ২২নং ওয়ার্ডের মোস্তফাপুর (সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ) ব্রীজের মুখে কচুরিপানা অপসারণ করার মধ্য দিয়ে পানি চলাচলের গতি স্বাভাবিক করা চেষ্টা চালান।
কৃষকলীগ আহবায়ক খোরশেদ আলম তাৎক্ষণিক বিষয়টি সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষ কে জানালে কিছু সময়ের মধ্যেই তিনি সরেজমিন পরিদর্শন করেন এবং সদর দক্ষিণ কৃষি অফিসারকে মহানগর দক্ষিণের নয় ওয়ার্ডের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের প্রণোদনা সহ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এতে কৃষকরা কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন কৃষক শেণীর মানুষ।
এ সময় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ প্রেসক্লাব সভাপতি হাজী মোঃ দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, ২০নং ওয়ার্ড কৃষকলীগ আহবায়ক নোয়াব আলী, ২৩নং ওয়ার্ড কৃষকলীগ আহবায়ক ফখরুল ইসলাম কনক, ২২নং ওয়ার্ড কৃষকলীগ নেতা মোঃ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, আমির হোসেন সিদ্দিক, ২২নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক কাজী ফারুক, আবুল কাশেমসহ কৃষকলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।