মেহরাব অপি :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে টর্নেডোর আঘাতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ অসংখ্য ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এসময় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর উপড়ে পড়ে অসংখ্য বাঁশ ও গাছ। পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসব বাঁশ ও গাছ মহাসড়ক থেকে সরিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের আমানগন্ডা ও সালুকিয়া গ্রামে টর্নেডোর এ তান্ডব চলে। খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর হোসেন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান একে খোকন এলাকা পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকেল তিনটা থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল হঠাৎ ধমকা হাওয়া শুরু হয়ে ঘরের চালের ঢেউটিন বাতাসের তোড়ে গাছের ডালে ও দুরে গিয়ে পড়ে, আবার অনেক বিল্ডিং এর ছাঁদের ওপরের ওয়াল ভেঙে পড়ে এবং কিছু অংশ ফেটে যায়। এছাড়া অংশ গাছ ও বাঁশ ভেঙে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপরসহ যত্রতত্র পড়ে থাকে।
এসময় বাতাসের তোড়ে শালুকিয়া গ্রামে অবস্থিত ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপরের ঢেউটিন উড়ে যায় ও একটি মসজিদ এবং মাদ্রাসা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে যায়।
খবর পেয়ে মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ ও চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাছ ও বাঁশ সরিয়ে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার নাজির আহমেদ বলেন, “বিকেল ৩:১৫ টায় টর্নেডোর আঘাতে গাছপালা ভেঙে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেগুলো সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে। গাছপালা ভাঙা ছাড়াও মানুষের বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
ঘোলপাশা ইউপি চেয়ারম্যান একে খোকন জানান, খবর পেয়ে এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের পুর্নবাসনের জন্য প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য এবং ক্ষতিগ্রস্থদের একটি তালিকা তৈরি করে জমা দেওয়ার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।