০৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার

পাবজি’র নেশায় বাবার ব্যাংক থেকে ১৬ লক্ষ টাকা ওড়ালো কিশোর!

  • তারিখ : ০১:৩৪:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০
  • / 371

অনলাইন ডেস্ক : করোনাও দমাতে পারেনি পাবজি (PUBG) প্রেমিদের। বরং এই সময় পাবজি খেলার প্রবণতা যেন আরও বেড়ে গেছে। সেন্সর টাওয়ার নামে একটি সংস্থার রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বে এই মহামারীর সময়েও ভালো আয় (PUBG Mobile Revenue) করেছে পাবজি মোবাইল (PUBG Mobile) গেম তৈরির সংস্থাটি।

আসলে পাবজি যেন একটা নেশার মতো, যারা একবার এই গেমের নেশায় মত্ত হয়েছে তারা এর জন্য বোধহয় যেকোনও কিছু করতেই পিছপা হয় না। এই যেমন পাবজি গেমের নেশায় (PUBG Addiction) বুঁদ ভারতের পঞ্জাবের এক ১৭ বছরের কিশোর বাবার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৬ লক্ষ টাকা খরচ করতেও দু’বার ভাবেনি।

পাবজির বিভিন্ন পেইড অ্যাপ্লিকেশন কিনতে গিয়ে এবং গেম আপগ্রেড করতে গিয়ে ওই বিপুল অর্থ রীতিমতো উড়িয়ে দেয় সে। জানা গেছে, ওই টাকা তাঁর বাবা চিকিৎসা খাতে ব্যয়ের জন্যে সারা জীবন ধরে সঞ্চয় করেছিলেন। পাবজির নেশায় বাবার মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্জন করা সেই টাকা বিনা চিন্তা নষ্ট করেছে কিশোরটি।
ট্রিবিউন ইন্ডিয়ার খবর অনুসারে, পঞ্জাবের খারারে থাকা ওই কিশোরটি কাছে তাঁর মা-বাবার তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টেরই অ্যাক্সেস ছিল, বরাবরই সেখান থেকেই সে পাবজি গেমটি আপগ্রেড করতো। কিন্তু ছেলের আবদার মেটাতে গিয়ে যে এত বিশাল অংকের অর্থ খেসারত দিতে হবে তাদের, তা একেবারেই কল্পনা করতে পারেননি অভিভাবকরা।

ওই কিশোরের বাবা একজন সরকারি চাকুরে। তিনি ভবিষ্যতে চিকিৎসার জন্য ওই টাকা জমিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু তিনি প্রথমে টেরই পাননি যে তাঁর ছেলে এমন কাণ্ড করছে, কারণ কর্মসূত্রে অন্য জায়গায় ছিলেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ভদ্রলোক জানিয়েছেন, “আমার ছেলে তার মায়ের মোবাইল ফোন থেকে ওই সমস্ত লেনদেন করতো এবং তারপর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা খরচ সংক্রান্ত যে মেসেজটি আসতো সেটি সঙ্গে সঙ্গে ডিলিট করে দিত। ফলে আমরা কিছু জানতেই পারিনি সেই সময়।”

বাবা-মা ভাবতেন ওই কিশোর তাঁর অনলাইন পড়াশুনোর জন্যে রাতদিন মোবাইল নিয়ে বসে আছে। কিন্তু তলে তলে যে সে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তার আন্দাজ কোনওভাবেই করতে পারেননি তাঁরা।

সূত্র: বিডি প্রতিদিন

শেয়ার করুন

পাবজি’র নেশায় বাবার ব্যাংক থেকে ১৬ লক্ষ টাকা ওড়ালো কিশোর!

তারিখ : ০১:৩৪:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : করোনাও দমাতে পারেনি পাবজি (PUBG) প্রেমিদের। বরং এই সময় পাবজি খেলার প্রবণতা যেন আরও বেড়ে গেছে। সেন্সর টাওয়ার নামে একটি সংস্থার রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বে এই মহামারীর সময়েও ভালো আয় (PUBG Mobile Revenue) করেছে পাবজি মোবাইল (PUBG Mobile) গেম তৈরির সংস্থাটি।

আসলে পাবজি যেন একটা নেশার মতো, যারা একবার এই গেমের নেশায় মত্ত হয়েছে তারা এর জন্য বোধহয় যেকোনও কিছু করতেই পিছপা হয় না। এই যেমন পাবজি গেমের নেশায় (PUBG Addiction) বুঁদ ভারতের পঞ্জাবের এক ১৭ বছরের কিশোর বাবার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৬ লক্ষ টাকা খরচ করতেও দু’বার ভাবেনি।

পাবজির বিভিন্ন পেইড অ্যাপ্লিকেশন কিনতে গিয়ে এবং গেম আপগ্রেড করতে গিয়ে ওই বিপুল অর্থ রীতিমতো উড়িয়ে দেয় সে। জানা গেছে, ওই টাকা তাঁর বাবা চিকিৎসা খাতে ব্যয়ের জন্যে সারা জীবন ধরে সঞ্চয় করেছিলেন। পাবজির নেশায় বাবার মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্জন করা সেই টাকা বিনা চিন্তা নষ্ট করেছে কিশোরটি।
ট্রিবিউন ইন্ডিয়ার খবর অনুসারে, পঞ্জাবের খারারে থাকা ওই কিশোরটি কাছে তাঁর মা-বাবার তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টেরই অ্যাক্সেস ছিল, বরাবরই সেখান থেকেই সে পাবজি গেমটি আপগ্রেড করতো। কিন্তু ছেলের আবদার মেটাতে গিয়ে যে এত বিশাল অংকের অর্থ খেসারত দিতে হবে তাদের, তা একেবারেই কল্পনা করতে পারেননি অভিভাবকরা।

ওই কিশোরের বাবা একজন সরকারি চাকুরে। তিনি ভবিষ্যতে চিকিৎসার জন্য ওই টাকা জমিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু তিনি প্রথমে টেরই পাননি যে তাঁর ছেলে এমন কাণ্ড করছে, কারণ কর্মসূত্রে অন্য জায়গায় ছিলেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ভদ্রলোক জানিয়েছেন, “আমার ছেলে তার মায়ের মোবাইল ফোন থেকে ওই সমস্ত লেনদেন করতো এবং তারপর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা খরচ সংক্রান্ত যে মেসেজটি আসতো সেটি সঙ্গে সঙ্গে ডিলিট করে দিত। ফলে আমরা কিছু জানতেই পারিনি সেই সময়।”

বাবা-মা ভাবতেন ওই কিশোর তাঁর অনলাইন পড়াশুনোর জন্যে রাতদিন মোবাইল নিয়ে বসে আছে। কিন্তু তলে তলে যে সে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তার আন্দাজ কোনওভাবেই করতে পারেননি তাঁরা।

সূত্র: বিডি প্রতিদিন