কুমিল্লায় অতিরিক্ত ভাড়ায় কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ

মো. জাকির হোসেন :
সরকার ঘোষিত সাধারন ছুটির মেয়াদ শেষের আগ মুহুর্তে কর্মস্থলে ছুটছে মানুষ। এ অবস্থায় সাধারন মানুষ দেশে গণপরিবহণ বন্ধ থাকলেও কর্মস্থলে ফেরার স্রোত যেন বাড়ছেই। গতকাল শনিবার কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একাধিকস্থান ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র। আর গণপরিবহণ বন্ধের সুযোগে প্রাইভেট ও মালবাহী যানবাহন চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।

সারাদেশে মরণঘাতি করোনার প্রভাবে সরকার সাধারণ ছুটির পাশাপাশি পরিবারের সাথে ঈদ শেষে আজ রোববার থেকে সারাদেশে কর্মস্থল চালুর ঘোষনায় মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে মানুষের চাপ ছিল বেশী। এদিকে এখনো গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভরসা ছিল প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, পিক-আপ, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান বা লং ভেহিকেল।

একদিকে কর্মস্থলে ফেরার চাপ অন্যদিকে যানবাহন স্বল্পতা যেন এই কর্মস্থলে ফেরা মানুষের মরার উপর খাড়ার গাঁ। কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম, পদুয়ার বাজার, ময়নামতি সেনানিবাস , চান্দিনা,গেীরীপুর এলাকায় ঘুরে পাওয়া গেছে এই চিত্র। রাজধানী ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামের অনেকটা মাঝামাঝি কুমিল্লার অবস্থান। এর আশপাশে রয়েছে চাঁদপুর, নোয়াখালী,লক্ষীপুর জেলা।

৩১ মে সাধারন ছুটির মেয়াদ শেষের সরকারী ঘোষার পর তাই কর্মস্থলে মানুষের চাপ বেড়ে যায় মহাসড়কে। এই চিত্র সবচেয়ে প্রকট ছিল কুমিল্লার পদুয়ারবাজহার এলাকায় মহাসড়কে। কুমিল্লা ও আশপাশের জেলা ও উপজেলার কমপক্ষে ১৫ টি গন্তব্যে অসংখ্য লোক প্রতিদিন এই পথে যাতায়াত করতো।

গণপরিবহন বন্ধ থাকার সুযোগে সরাসরি ঢাকা বা চট্টগ্রামগামী কোন যানবাহন না থাকায় নোয়াখালী ,লক্ষীপুর,চাঁদপুরছাড়াও জেলার লাকসাম,নাঙ্গলকোট,মনোহরগঞ্জ,সদর দক্ষিণ ,লালমাই , বরুড়ার হাজার হাজার মানুষ সিএনজি অটোরিক্সা,ইজিবাইক,মিনিট্রাক,রিক্সা,লক্করঝক্কর মার্কা মাইক্রোবাস,প্রাইভেটকার যোগে যে যেভাবে পেরেছে পদুয়ার বাজারে এসে জড়ো হয়। এরপর শুরু হয় দুর্ভোগের।

এসময় কর্মস্থলে ফেরা মানুষ গণপরিবহন না থাকার কারণে প্রাইভেট কার ,মাইক্রোবাস, পিক-আপ বা অন্যান্য মালবাহী যানবাহনে গন্তব্যে পৌঁছার চেষ্টা করলে চালকরা ৩/৪ গুণ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে যাত্রীদের কাছ থেকে। পদুয়ারবাজারে কথা হয় লাকসামের নসরতপুর এলাকার জাহাঙ্গীর,সদর দক্ষিণের শানিচৌ গ্রামের বিল্লাল সহ বেশ ক’জন মাইক্রোবাসের যাত্রীর সাথে।

তারা জানান, এমনিতে বাসে করে ২’শ টাকায় ঢাকার ভাড়া হলেও গণপরিবহন বন্ধের সুযোগ নিয়ে ৫’শ থেকে ১ হাজার টাকা নিচ্ছে মানুষের কাছ থেকে। এক্ষেত্রে সরকার নির্দেশিত সামাজিক দুরত্ত্বও মানছেনা। ঢাকাগামী এক গার্মেন্টস কর্মী শাহআলম বলেন, ঈদ শেষে কর্মস্থলে যাচ্ছি। না হলে খাব কি পরিবার পরিজন নিয়ে। এঅবস্থায় একটি মাইক্রোবাসে ৯ জন উঠিয়ে প্রতিজনের কাছ থেকে ৬’শ টাকা করে নিচ্ছে ভাড়া।

মহাসড়কের পদুয়ারবাজার এলাকায় চট্টগ্রামমুখী মানুষের চাপও ছিল চোঁখে পড়ার মতো। এছাড়া ময়নামতি সেনানিবাস,চান্দিনা,দাউদকান্দির গৌরীপুরে মানুষের চাপ ছিল অনেক।

ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাফায়েত হোসেন বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া বা সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
error: ধন্যবাদ!