মো: ওমর ফারুক :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে তিন জুন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪ জন। এর মাঝে উপজেলা ৫০ শর্য্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, স্বাস্থ্য বিভাগের ৪ টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও তিনটি প্রাইভেট হাসপাতাল লকডাউন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পুরো উপজেলায় ৬০৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৪শ ৯০জনের রিপোর্ট এসেছে। এদের মধ্যে করোনায় পজিটিভ হয়েছে ৬৪ জনে।
সর্ব প্রথম করোনার সন্ধান পাওয়া যায়,১১ মে রায়কোট ইউপির পূর্ব বামপাড়া গ্রামে দুই জন করোনা পজিটিভ রিপোর্টের মাধ্যমে। এরপর বাড়তে থাকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আবার কেউ কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়ে নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রাম থেকে ।
২৩ মে উপজেলা ৫০ শর্য্যা হাসপাতালও স্বাস্থ্য বিভাগের ১৪ জনসহ একদিনে করোনায় পজিটিভ হয়েছে ২৫ জনে। এরপর সাথে সাথে ৫০ শর্য্যা হাসপাতালটি লকডাউন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা ডা: দেব দাস দেব। এতে করে উপজেলায় প্রায় ৫ লাখ নাগরিক স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এক দিকে সরকারি হাসপাতালটি লকডাউন। অন্যদিকে প্রাইভেট হাসপাতালও লকডাউন করা হয়েছে।
একাধিক ব্যাক্তির অভিযোগ এক সাথে এতো জন ডাক্তার কি ভাবে আক্রান্ত হয়েছে? স্বল্প ডাক্তার থাকার পর কেনো তাদেরকে এমন ঝুঁকিতে পড়তে হয়েছে? হাসপাতালটি লকডাউন করার আগে বিকল্প চিকিৎসা সেবা চালু রাখার প্রয়োজন ছিল। কিন্ত স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তার অবহেলার শিকার হতে হয়েছে , প্রায় ৫ লাখ নাগরিককে।
এ বিষয়ে বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মকর্তা ডা:দেব দাস দেব বলেন- যেহেতু ডাক্তার রোগিদেরকে স্বাস্থ্য সেবা দিবেন। কিন্ত তারা এখন আক্রান্ত হয়েছে, তাই বিহৎ স্বার্থে আমি উর্ধবতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কিছু সময়ের জন্য হাসপাতালটি লকডাউন করেছি।
এছাড়া ও উপজেলায় আরও ৫৪ টি, উপ-স্বাস্থ কেন্দ্রের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছি। অপরদিকে টেলি মেডিসিন এর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা চলছে। করোনায় পজিটিভ সবাই এখন ভালো আছেন।