০৮:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচনে প্রভাব নিয়ে যা বললেন ইসি মাছউদ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ইউএনও’র প্রশংসনীয় উদ্যোগ অফিসে প্রবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কুমিল্লা সদর দক্ষিণে সিএনজি উল্টে শিক্ষক নিহত কুমিল্লা সদর দক্ষিণে আশ্রয়ন প্রকল্পে মাদক বিরোধী যৌথ অভিযান, দুইজনের কারাদণ্ড কুমিল্লায় চমক দেখালেন মনিরুল হক চৌধুরী কুমিল্লা নামে বিভাগ চেয়ে এবার কাতার প্রবাসীদের স্মারকলিপি প্রদান ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ অভিনেতার পৌর মেয়রসহ আ.লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার আহত না হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’, বাতিল হলো ১২৮ জনের গেজেট নির্বাচন বানচালে হঠাৎ আক্রমণ আসার আশঙ্কা প্রধান উপদেষ্টার

আমড়ার পুষ্টিগুণ

  • তারিখ : ০১:১২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ ২০২০
  • / 1306

অনলাইন ডেস্ক :

অন্যান্য ফলের মধ্যে অন্যতম সুস্বাদু আমড়া। বাংলাদেশে পুষ্টিকর এই ফলটির দু’টি প্রজাতির চাষ হয়। দেশি আমড়া ও বিলাতি আমড়া। বিলাতি আমড়া দেশি আমড়ার মতো টক নয়। এটি খেতে টক-মিষ্টি স্বাদের। এতে শাঁস বেশি, আকারেও বড়। বিলাতি আমড়া কাঁচা খাওয়া হয়। বিলাতি ও দেশি দই’ধরনের আমড়া থেকেই সুস্বাদু আচার, চাটনি এবং জেলি তৈরি করা যায়। তরকারি হিসেবে রান্না করেও আমড়া খাওয়া যায়। মুখে রুচি বৃদ্ধিসহ অসংখ্য গুণাগুণ রয়েছে আমড়া।

গোল্ডেন আপেলখ্যাত আমড়ার বৈজ্ঞানিক নাম Stondia Dulcis। এটি Anacardiaceae পরিবারভুক্ত। আমড়ায় জলীয় অংশ ৮৩.২, খনিজ ০.৬, লৌহ ০.৩৯, আঁশ ০.১, চর্বি ০.১, আমিষ ১.১, শর্করা ১৫, ক্যালসিয়াম ০.৫৫ শতাংশ।
পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আমড়ায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম আর আঁঁশ আছে, যেগুলো শরীরের জন্য খুব দরকারি। হজমেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই তেল ও চর্বিযুক্ত খাদ্য খাওয়ার পর আমড়া খেয়ে নিতে পারেন; হজমে সহায়ক হবে। আমড়ায় প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় এটি খেলে স্কার্ভি রোগ এড়ানো যায়। বিভিন্ন প্রকার ভাইরাল ইনফেকশনের বিরুদ্ধেও লড়তে পারে আমড়া। অসুস্থ ব্যক্তিদের মুখের স্বাদ ফিরিয়ে দেয়।

সর্দি-কাশি-জ্বরের উপশমেও আমড়া অত্যন্ত উপকারী। শিশুর দৈহিক গঠনে ক্যালসিয়াম খুব দরকারি। ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস এই আমড়া। শিশুদের এই ফল খেতে উৎসাহিত করতে পারেন। এছাড়া এটি রক্তস্বল্পতাও দূর করে। কিছু ভেষজ গুণ আছে আমড়ায়। এটি পিত্তনাশক ও কফনাশক। আমড়া খেলে মুখে রুচি ফেরে, ক্ষুধা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।

আমড়ায় থাকা ভিটামিন সি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। খাদ্যে থাকা ভিটামিন এ এবং ই এটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে দেহকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত থেকে রক্ষা করে। দাঁতের মাড়ি শক্ত করে, দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত, পুঁজ, রক্তরস বের হওয়া প্রতিরোধ করে আমড়া। এর ভেতরের অংশের চেয়ে বাইরের খোসাতে রয়েছে বেশি ভিটামিন সি আর ফাইবার বা আঁশ, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে করে দ্বিগুণ শক্তিশালী। আর আঁশজাতীয় খাবার পাকস্থলী (স্টমাক), ক্ষুদ্রান্ত, গাছহদন্ত্রের (পেটের ভেতরের অংশবিশেষ) জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।

শেয়ার করুন

আমড়ার পুষ্টিগুণ

তারিখ : ০১:১২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ ২০২০

অনলাইন ডেস্ক :

অন্যান্য ফলের মধ্যে অন্যতম সুস্বাদু আমড়া। বাংলাদেশে পুষ্টিকর এই ফলটির দু’টি প্রজাতির চাষ হয়। দেশি আমড়া ও বিলাতি আমড়া। বিলাতি আমড়া দেশি আমড়ার মতো টক নয়। এটি খেতে টক-মিষ্টি স্বাদের। এতে শাঁস বেশি, আকারেও বড়। বিলাতি আমড়া কাঁচা খাওয়া হয়। বিলাতি ও দেশি দই’ধরনের আমড়া থেকেই সুস্বাদু আচার, চাটনি এবং জেলি তৈরি করা যায়। তরকারি হিসেবে রান্না করেও আমড়া খাওয়া যায়। মুখে রুচি বৃদ্ধিসহ অসংখ্য গুণাগুণ রয়েছে আমড়া।

গোল্ডেন আপেলখ্যাত আমড়ার বৈজ্ঞানিক নাম Stondia Dulcis। এটি Anacardiaceae পরিবারভুক্ত। আমড়ায় জলীয় অংশ ৮৩.২, খনিজ ০.৬, লৌহ ০.৩৯, আঁশ ০.১, চর্বি ০.১, আমিষ ১.১, শর্করা ১৫, ক্যালসিয়াম ০.৫৫ শতাংশ।
পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আমড়ায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম আর আঁঁশ আছে, যেগুলো শরীরের জন্য খুব দরকারি। হজমেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই তেল ও চর্বিযুক্ত খাদ্য খাওয়ার পর আমড়া খেয়ে নিতে পারেন; হজমে সহায়ক হবে। আমড়ায় প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় এটি খেলে স্কার্ভি রোগ এড়ানো যায়। বিভিন্ন প্রকার ভাইরাল ইনফেকশনের বিরুদ্ধেও লড়তে পারে আমড়া। অসুস্থ ব্যক্তিদের মুখের স্বাদ ফিরিয়ে দেয়।

সর্দি-কাশি-জ্বরের উপশমেও আমড়া অত্যন্ত উপকারী। শিশুর দৈহিক গঠনে ক্যালসিয়াম খুব দরকারি। ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস এই আমড়া। শিশুদের এই ফল খেতে উৎসাহিত করতে পারেন। এছাড়া এটি রক্তস্বল্পতাও দূর করে। কিছু ভেষজ গুণ আছে আমড়ায়। এটি পিত্তনাশক ও কফনাশক। আমড়া খেলে মুখে রুচি ফেরে, ক্ষুধা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।

আমড়ায় থাকা ভিটামিন সি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। খাদ্যে থাকা ভিটামিন এ এবং ই এটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে দেহকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত থেকে রক্ষা করে। দাঁতের মাড়ি শক্ত করে, দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত, পুঁজ, রক্তরস বের হওয়া প্রতিরোধ করে আমড়া। এর ভেতরের অংশের চেয়ে বাইরের খোসাতে রয়েছে বেশি ভিটামিন সি আর ফাইবার বা আঁশ, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে করে দ্বিগুণ শক্তিশালী। আর আঁশজাতীয় খাবার পাকস্থলী (স্টমাক), ক্ষুদ্রান্ত, গাছহদন্ত্রের (পেটের ভেতরের অংশবিশেষ) জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।