এখনও চীনের বাজারে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে বাদুড়-কুকুর-বিড়াল!

বলা হচ্ছে, চীনের বাজারগুলোতে বিক্রি হওয়া বাদুড়সহ নানা ধরনের বুনো প্রাণিজ খাবার থেকে করোনার মতো ভাইরাস মানুষের দেহে সংক্রমিত হচ্ছে। করোনার প্রকোপ চীনে কিছুটা কমতে না কমতেই সেখানের বাজারে আবারও দেদারসে বিক্রি হচ্ছে এসব প্রাণী।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদক চীনের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখে এসেছে মরিচাপড়া খাঁচার ভেতরে আতঙ্কিত কুকুর, বিড়াল ও খরগোশ রাখা আছে বিক্রির জন্য। আছে চীনাদের অতি প্রিয় বাদুড়ও। এছাড়া, সেখানকার প্রচলিত পথ্য হিসেবে বাদুড়ের পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে বিছাসহ নানা ধরনের বিষধর প্রাণী।

খরগোশ, কুকুর, বিড়াল, হাঁসসহ অন্যান্য প্রাণী হত্যার পর মাংস কেটে কেটে আলাদা করা হচ্ছে বাজারের ভেতরেই। আর সেসব প্রাণীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে দোকানঘরের পাকা মেঝে।

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেও চীনের বাজারগুলো আগের মতোই চলছে। নেই জীবাণুমুক্ত থাকার ব্যাপারে কোনো ধরনের সচেতনতা। যে বাদুড়ে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হিসেবে বিবেচনা করছেন বিজ্ঞানীরা, এখনো সেই বাদুড় বিক্রি চলছে দেদারসে। মানুষও তা কিনে খাচ্ছে। অথচ, মাসখানেক আগেই প্রথমে উহান ও পরে পুরো চীনে লকডাউন করতে হয়েছিল।

গণমাধ্যমটির আরেক প্রতিবেদক সাংবাদিক চীনের দক্ষিণাঞ্চলের ডংগুয়ান এলাকার মাংস বিক্রির একটি বাজারের পাশে ফুটপাতের এক কবিরাজকে দেখে এসেছেন। সাপ, ব্যাঙ, বাদুড়, টিকটিকি, আরশোলা, বিছাকে নানা রোগের ঔষধ হিসেবে উল্লেখ করে বিক্রি করছেন তিনি।

শনিবার থেকেই চীনের গুইলিনের বাজার চালু হয়েছে। সেখানে কুকুর ও বিড়ালের টাটকা মাংস বিক্রি চলছে। সেখানকার মানুষ বিশ্বাস করে যে করোনার প্রভাব চলে গেছে। এ নিয়ে আর ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এটা এখন অন্য দেশের মানুষের সমস্যা।

এদিকে, এত বড় বিপর্যয়ের পরও চীনের এসব ফুড মার্কেটে সচেতনতা সৃষ্টি না হওয়াটাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন সেটিই ভেবে পাচ্ছেন না অনেকে।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
error: ধন্যবাদ!