নিজস্ব প্রতিবেদক।।
দুই দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মঙ্গলবার (৯জুলাই) নবম দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছে। গত (১ জুলাই) সকাল থেকে সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কর্মবিরতি পালন শুরু হয়।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ-সেবা দিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝড় বৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় নিয়ে দিন-রাত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সমিতির তদারকি প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) দ্বৈত নীতির কারণে ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন দেশের ৮০টি.পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী।
একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবি, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন তারা। শুধু তাই নয়, বিআরইবির অদক্ষতা ও নিম্নমানের সামগ্রীর কারণে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিতরণ লাইনে ব্যবহৃত নিম্নমানের মালামালের জন্য উত্তম গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না।
জানা গেছে, সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের বৈঠক বিফলে গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নবম দিনের মতো মঙ্গলবার কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ উত্তর রামপুর অবস্থিত প্রধান কার্যালয়ের সামনে কর্ম বিরতিসহ আন্দোলন চলছে।
তাদের দাবি, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) থেকে মুক্তি নিয়ে এক ও অভিন্ন সার্ভিস কোড, অনিয়মিতদের নিয়মিত চাকরি ও সব লাইনম্যানদের ২৪ ঘণ্টা কাজের বদলে আট ঘণ্টা কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের পক্ষে কোনও আশ্বাস না পাওয়ায় চলমান কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ডিজিএম (কারিগরি ) মাসুদুল আলম, এজিএম (এমএস) আকরাম হোসেন , এজিএম (ওএন্ডএম) মীর আবু জামান, এজিএম (এইচআর) অনিক প্রধান, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহাদত হোসেন, লাইন টেকনিশিয়ান এয়াছিন সরকার, বিলিং সহকারী লায়লা নূর, মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, লাইন শ্রমিক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, কর্মবিরতি চললেও জরুরি বিদ্যুৎ ও গ্রাহকসেবা চালু রেখেছে আন্দোলকারীরা।