লাইব্রেরী একটি ইংরেজি শব্দ (Library) । যার বাংলা প্রতিশব্দ হচ্ছে গ্রন্থাগার। গ্রন্থাগার একটি বিদগ্ধ প্রতিষ্ঠান যেখানেপাঠক-গবেষকদের ব্যবহারের জন্য বই, পত্র-পত্রিকা, পান্ডুলিপি, সাময়িকী, জার্নাল ও অন্যান্য তথ্যসামগ্রী সংগ্রহ ও সংরক্ষিত হয়। এই শব্দটির উৎপত্তি ল্যাটিন শব্দ Liber থেকে। যার অর্থ ‘পুস্তক’। আবার Liber শব্দটি এসেছে Libraium শব্দ থেকে। যার অর্থ ‘পুস্তক রাখার স্থান’। এ্যাংলো-ফ্রেঞ্চ শব্দ Librarie অর্থ হলো পুস্তকের সংগ্রহ।
মুদ্রণ প্রযুক্তি আবিষ্কারের আগে বই-পুস্তক, চিঠিপত্র, দলিলাদি লেখা হতো বৃক্ষের পাতা ও বাকল, পাথর, মৃন্ময় পাত্র, পশুর চামড়া প্রভৃতির উপর। এসব উপাত্ত-উপকরণ গ্রন্থাগারে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হতো। মেসোপটেমীয় উপত্যাকায় যখন সুমেরীয়, ব্যাবিলনীয় এবং এ্যাসেরীয়রা বসতি গড়ে তোলে সে সময়ে গ্রন্থাগার স্থাপন করে তারা সভ্যতার অগ্রগতিতে অবদান রাখে।প্রাচীনকালে যখন প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে স্কুল কলেজের প্রচলন ছিলনা, তখন কিন্তু গ্রন্থাগারের প্রচলন ছিল। তখন গ্রন্থাগার সাধারণত রাজন্যবর্গ ও অভিজাতগণ ব্যবহার করতেন। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের জন্য তা উন্মুক্ত ছিল না।
বাংলাদেশে প্রাচীনকাল থেকেই পুঁথি-পান্ডুলিপি সংরক্ষণের প্রথা ছিল। মধ্যযুগে হোসেনশাহী রাজবংশ রাজকীয় গ্রন্থাগার স্থাপন করেন। ১৭৮০ সালে শ্রীরামপুর মিশন কর্তৃক যে মুদ্রিত গ্রন্থ ও পান্ডুলিপির গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল তা ইতিহাসে খুবই প্রসিদ্ধ । কলকাতা মাদ্রাসা ও বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে ও পুঁথি ও মুদ্রিত গ্রন্থের সংগ্রহশালা ঐ সময়েই প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৮০১ সালে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ মানবিক বিদ্যা ও বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করে। ১৮০৫ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি কলকাতায় একটি গ্রন্থাগার স্থাপন করে।১৮৫৪ সালে এই বঙ্গেতেই ৪টি গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। এগুলি হলো- বগুড়া উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি, রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি, যশোর ইনস্টিটিউট পাবলিক লাইব্রেরি এবং বরিশাল পাবলিক লাইব্রেরী। ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় সকলের জন্য উম্মুক্ত একটি গণগ্রন্থাগার (Public Library)। হয় গ্রন্থাগার শাস্ত্র। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় গ্রন্থাগার স্থাপিত হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল শিল্প, সাহিত্য, ঐতিহ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও কৃষ্টির লালন কেন্দ্র হিসেবে কাজ করা।১৯৭৭-৭৮ সালে গ্রন্থাগারটি শাহবাগের নতুন ভবনে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৮২ সালে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত এনাম কমিটির সুপারিশক্রমে ১৯৮৪ সালে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়।
উপরের এই তথ্যগুলো আসলে বিভিন্ন উৎস থেকে নেয়া। যাইহোক আমাকে এই সব তথ্যের অবতারণা করার মুলে যাওয়া যাক। গ্রন্থাগার এর প্রচলন সুদূর অতীতের হলেও এবং এর থেকেই সভ্যতার দ্রুত উন্নয়ন ঘটলেও বর্তমানে আমরা, বিশেষ করে বাংলাদেশী বাঙালিরা লাইব্রেরী থেকে বিমুখ হয়েছি। কিন্তু আমাদের উচিৎ, করোনার ভয় না করে ফেরীগুলোতে যেমন উপচেপড়া ভীড় হয়েছিল, গণগ্রন্থাগার গুলোতে এর চেয়েও ভীড় করা। তবে হ্যাঁ কোন পুতুল নাচ কিংবা বানর নাচ অথবা ৮০% ডিসকাউন্ট দেওয়া পুরনো মেয়াদ চলে যাওয়া বাটা জুতা কেনার হিড়িক দেয়ার ভীড় নয়। প্রকৃত অর্থেই জ্ঞান অন্বেষণের জন্য এই গণগ্রন্থাগার গুলোতে উপচেপড়া ভীড় হওয়া দরকার, যাতে রাষ্ট্র এই ভীড় দেখে দ্রুত আরো আরো অত্যাধুনিক ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি স্থাপনের দিকে মনোযোগ দেয়। সরকার কিন্তু এতে বিনিয়োগ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা বোধ করবেনা। তাছাড়া ইচ্ছা করলে সরকারি ভাবেও পাব্লিক লাইব্রেরিগুলোতে প্রতিদিন ক্লাস্টার ভিত্তিতে অন্তত মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের বাধ্যতামূলক ভাবে মিনিমাম দুই ঘন্টা ইচ্ছামাফিক বই পড়ার ট্রেন্ড চালু করতে পারে। এতে পাবলিক লাইব্রেরী গুলো ভাইব্রান্ট হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য একটা মেধাবী জেনারেশন বিল্ড করা সম্ভব।
অথবা প্রত্যেক স্কুলে রেপিড রিডার সৃজন করার লক্ষ্যে কিংবা ছাত্রছাত্রীদের কে বই পড়ার প্রতি আগ্রহী করে গড়ে তোলার জন্য প্রত্যেকটি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বুক রিভিউ নামে অতিরিক্ত একটা ক্লাস / সিস্টেম চালু করা যায়। আমাদের দেশে গুটিকয়েক রিনোউন পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া, এমনকি সরকারি কলেজগুলোতে ও এই বুক রিভিউ সিস্টেম ডেভেলাপ করা হয়নি। এমনকি স্নাতক- স্নাতকোত্তর শ্রেণির পাঠ্যক্রমে এসাইনমেন্টের সিস্টেম ও অনেক সরকারি কলেজ গুলোতে চালু নেই। তবে এখন চালু হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটা সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছি। আমার সময়ে আমি পাইনি। কিন্তু যখন সরকারি চাকুরির সুবাদে মৌলিক প্রশিক্ষণে যাই তখন দেখলাম প্রত্যেক অংশ গ্রহণকারীকে লটারির মাধ্যমে একটা বই এর নাম বলে দেয়া হয়েছে। আমরা সেটা লাইব্রেরিতে খুঁজে বের করেছি। সেটা সবার মনোযোগ দিয়ে পড়তে হয়েছে। এবং সেই বইয়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণ সহ বই পর্যালোচনা করতে হয়েছে। এবং তাহা কম্পিউটারে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যমে আমাদের গ্রুপের সকলের উপস্থিতিতে সেটা ব্যাখ্যা করে উপস্থাপন করতে হয়েছে। আমার শেষ বয়সের এই অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি এভাবে প্রতিটি স্কুলে এক্সট্রা কারিকুলাম হিসেবে হলেও প্রতি মাসে অন্তত একদিন প্রত্যেক ছাত্রের জন্য ওদের পছন্দসই কোন একটি বইয়ের বুক রিভিউ বাধ্যতামূলক করা উচিৎ। দেখা যাবে ছাত্রজীবনেই অন্তত ৫০ টা বিখ্যাত বই পড়ে ফেলেছে। এভাবেই বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে হবে। এতে করে ছাত্রছাত্রীদের মাঝে মেধার বিকাশ ঘটবে। সৃজনশীলতা বাড়বে। আর মেধাবী হওয়ার চেয়ে মেধার বিকাশ টা খুব দরকার। মেধাবী হওয়া মানে একনালা বন্দুকের গুলির মত। একটা গুলি করার পর আবার ম্যাগজিন খুলতে হয়, অন্য আরেকটা গুলি ভরতে হয়, সাট ডাউন করে ট্রিগার চালাতে হয় অন্য আরেকটি গুলি চালানোর জন্য। কিন্তু মেধার বিকাশ মানে হচ্ছে বিস্ফোরণ Explosion এর মত, মহুর্তেই চতুর্দিকে…..।
একবছর ব্যাপি একটা সুনির্দিষ্ট পাঠ্যসূচী/পাঠ্যক্রম পড়েই যদি ছাত্রছাত্রীদের বছর কাটিয়ে দিতে হয় তাহলে সেটাই হবে পরহস্তে ধনের মতন। প্রয়োজনের সময় শুধু এই পুঁথিগত বিদ্যা পূর্ণ সফলতা অর্জনে ব্যর্থ হয়। বিশেষ করে পাঠ্যপুস্তকের বাইরের বিভিন্ন সাহিত্যিক কিংবা যেকোন লেখকেরই হোক না কেন কিংবা যেকোন আউট বই পড়ার মাধ্যমে পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ানো খুবই প্রয়োজন। একজন বিখ্যাত ফুটবলারের দীর্ঘ মেয়াদের চর্চা ছাড়া যেমন খ্যাতি অর্জন করা অসম্ভব তেমনি আউট বই পড়া ছাড়া এই প্রতিযোগিতা পূর্ণ পৃথিবীতে নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলা কিংবা খ্যাতি অর্জন বা সফলতা অর্জন কোনভাবেই সম্ভব নয়। মেসিকে কিংবা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে তাঁদের জায়গায় যেতে দিন রাত সাধনা করতে হয়েছে, প্র্যাকটিস করতে হয়েছে।
তেমনি পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি বিখ্যাত লেখকদের লেখা গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস ইত্যাদি পড়া ছাড়া জ্ঞান অর্জন কোন ভাবেই সম্ভব নয়। আর বই পড়ার মাধ্যমেই একজন ব্যাক্তি নিজেকে সার্বক্ষণিক আপডেট বা হালনাগাদ রাখতে পারেন। বইয়ের মাধ্যমে একজন ব্যাক্তি অতীত কে বর্তমানের সাথে জোড়া লাগাতে পারে। জগত, জগতের অমোঘ নিয়ম, মানুষ, মানুষের প্রয়োজন, জীবন মরণ, পরিবেশ, প্রতিবেশ, ইকোসিস্টেম, ভৌগোলিক তথ্য, সৌরজগত, ধর্মতত্ত্ব, যুদ্ধ বিগ্রহ, ইতিহাস, নৃতত্ত্ব, এ সকল তথ্য উপাত্তের সংগ্রহ বা হালনাগাদ থাকা শুধু সীমাবদ্ধ পাঠ্যপুস্তকে সম্ভব নয়। প্রয়োজন পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি আউট বই। বেশি বেশি আউট বই। আর এজন্য গণগ্রন্থাগারের কোন বিকল্প নেই।
মনে রাখতে হবে জ্ঞানই একমাত্র মানুষকে বিখ্যাত করতে পারে, অন্যকিছু নয়। হলেও সেগুলো সাময়িক, সেক্ষেত্রে বিখ্যাত ব্যাক্তিটির আত্নতৃপ্তির জায়গাটা খুবই ছোট / সীমিত। কিন্তু বিত্তহীন একজন জ্ঞানী মানুষের আত্নতৃপ্তির জায়গাটা এবং তাঁর আত্নবিশ্বাসের মাত্রা ও খুবই উন্নত। হ্যা আমার কাছে মনে হয়েছে পড়াশোনা করাটাই জগতের সবচেয়ে কঠিন টাস্ক। এর চেয়ে কষ্টকর কোনকিছুই আমার কাছে মনে হয়নি। এখানেও একটি সুক্ষ্ম কারণ রয়েছে বলে আমার মনে হয়। যেমন ধরা যাক আমাদের দেহের হাত, পা, চোখ, কান, নাক এমনকি মাথা, এগুলো সাধারণত মস্তিস্কের চেয়ে কিছুটা স্বাধীন ভাবেই থাকে। কিন্তু মস্তিষ্ক টা থাকে একটা গুহার মধ্যে। সে এদের মত এতটা স্বাধীন নয়, এদিক সেদিক নড়তে চড়তে পারেনা। সে অন্ধকার গুহায় বসে দেহের অন্যান্য অংগ সমুহকে নির্দেশনা দেয়, আর সে মোতাবেক মানব দেহ কাজ করে। হাতকে নির্দেশ দিলে হাত কায়িক পরিশ্রম হোক বা ইশারা ইঙ্গিত যাইহোক নড়ে-চড়ে কাজ করে নেয়। ঠিক তেমনি পা, পায়ের আংগুল সমুহ, হাতের আংগুল সমুহ, মুখমণ্ডল ইত্যাদি। কিন্তু পড়াশোনা করাটাই হচ্ছে এমন একটা টাস্ক যা মস্তিষ্ক নিজেকেই প্রয়োগ করতে হয়। চোখ কিছুটা তাকে এসিস্ট করে, তাও আবার মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে মনোযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে চায়। তো মস্তিস্কের যখন নিজের ঘাড়ে কষ্টের বোঝা চেপে যায়, অর্থাৎ কাউকে দিয়ে করাতে পারেনা তখন সে ঝিমুনি শুরু করে দেয়। এই জন্যই সম্ভবত পড়াশোনা টা আমার কাছে একটু বেশিই কষ্টসাধ্য মনে হয়। মস্তিষ্কের এই একঘেয়েপনা কাজটা যাতে আনন্দের সাথে করা যায় সেজন্য অবশ্য ছাত্রছাত্রীদেরকে রাষ্ট্র এবং পরিবারের পক্ষ থেকে সাপোর্ট দেয়া উচিত।
তাঁদেরকে বই পড়ার প্রতি কিভাবে মনোযোগী করা যায় সেভাবে চিন্তা করতে হবে। হয়ত সকল ছাত্রছাত্রীদেরকে মনোযোগী করা সম্ভব হবেনা। কিন্তু তাই বলে যাদের আগ্রহ আছে- প্রতিভা রয়েছে, হোক সেটা অল্প সংখ্যক, অন্তত তাদের জন্য হলেও শুরু করা উচিৎ। লক্ষ লোকের আশা নিয়ে শুরু করলে অন্তত দশ জনকে ও যদি গড়ে তোলা যায় তাহলে এই দশজনকে দিয়েই কোটি লোকের উন্নয়ন /উপকার করা কোন ব্যাপারই না। উন্নয়নের জন্য, পরিবর্তন এর জন্য লক্ষ লোকের প্রয়োজন হয়না। একজন যোগ্য মানুষই কোটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারে। আমাদের এভাবেই চিন্তা করতে হবে।
আমার বই পড়তে খুব ইচ্ছা হয়, কিন্তু পারিপার্শ্বিক নানা ব্যস্ততায় সেভাবে পড়াটা হয়ে উঠেনা। তারপরও চেষ্টা করি। আমার নয় বছরের চাকুরী জীবনের সাত বারের বদলীর সময় সবার আগে আমার যে ক্ষুদ্র সংগ্রহের বই গুলো আছে সেগুলোকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে হরিহরাত্মা হিসেবে সঙ্গে নিয়ে চলি। বইগুলো না পড়তে পারলেও এগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে ও যে কি ভাল লাগে? আমার এত এত শার্ট-প্যান্ট আছে। ভাল কথা, আমার অন্তত ২০০০ টি বিখ্যাত গ্রন্থ পাঠ করা হয়েছে। এইগুলোই হোক আমাদের গর্বের উক্তি, অহংকার এর জায়গা।
চাকুরির প্রথম পোস্টিং প্লেস থেকেই একটা বুক শেল্ফ বানিয়েছি সেগুন কাঠ দিয়ে। যেখানেই যাই সেটাকে সংগে নিয়ে যাই। ইচ্ছা আছে নিজের যদি একটা বাড়ি হয় সেখানে একটা রুমে সুন্দর একটা লাইব্রেরি করব, হোকনা সেটা অতি ছোট্ট। “আসুন আমরা লাইব্রেরী গুলোতে ভীড় জমাই, পঠিত বইয়ের সংখ্যা বাড়াই”।