০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২ লালমাইয়ে বিয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান

কুমিল্লায় করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ভয়ে ফুল ব্যবসায়ীরা

  • তারিখ : ১২:৫২:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 413

মাজহারুল ইসলাম বাপ্পি :

কুমিল্লার ফুলের দোকানগুলোতে বছরজুড়েই পাওয়া যায় থরে থরে সাজানো বাহারি জাতের ফুল। সকাল-সন্ধ্যা এখানে ফুল বিক্রি চলে হরদম। সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে বিয়ে, জন্মদিন, ধর্মীয় উৎসবসহ ফুলের প্রয়োজন হলেই নগরবাসী ছুটে ফুল দোকানে।

বছর শুরুর কয়েক মাস ফুল ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসার মৌসুম। ফুল ব্যবসায়ীদের জন্য সুদিন বলা চলে।
কিন্তু গত দু’বছর বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাবে পথে বসার উপক্রম হয়েছে ফুল ব্যবসায়ীদের। গত বছরের শেষের দিকে মৃত্যু ও শনাক্ত কমলেও এ বছর নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে পুনরায় তীব্র হয়ে উঠছে মহামারি করোনা। এবারও কি তাহলে ক্ষতির মুখ দেখতে হবে? এমন ভয়, দুশ্চিন্তা ও হতাশায় কাটছে ফুল ব্যবসায়ীদের দিন।

কুমিল্লার ফুলের দোকান গুলো ঘুরে দেখা যায় অধিকাংশ দোকান ক্রেতাশূন্য। গল্প আর আড্ডায় অলস সময় পার করছে দোকানিরা। চলছে ফেব্রুয়ারি মাস। নানা রঙের গোলাপ, গাঁদা, অপরাজিতা, অতিথি, সানফ্লাওয়ার, কাশফুল, স্টার, রেডরোজ, হেভেনস, সিলসিলাসহ বাহারি রকমের ফুল দিয়ে সাজানো দোকানগুলো। এ মাসেই রয়েছে ভাষা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারি। ফুলের ব্যবসায়ীরা ফুল চাষিদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতেও ভয় পাচ্ছেন।

কারণ করোনা বৃদ্ধির ফলে যদি দেশ লকডাউনে পড়ে, তাহলে তারা নিঃশেষ হয়ে যাবে। এছাড়া স্বাভাবিক সময়ের মতো বিয়ে ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজনও তেমন নেই। তাই ফুলের চাহিদাও কম। কয়েকটি দোকানে ক্রেতার উপস্থিত থাকলেও দোকানিদের চোখে মুখে উদ্বেগ, হতাশা আর অজানা শঙ্কা। করোনা মহামারির আগে এ সময়টাতে দম ফেলার ফুরসত মিলতো না তাদের।

এছাড়া প্লাস্টিকের ফুল গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ফুল ব্যবসায়ীদের। কমদামি প্লাস্টিক ফুল ও আমদানি করা রকমারি বিদেশি ফুলের দখলে যাচ্ছে দেশি ফুলের বাজার। প্রায় বিয়েশাদী কিংবা যেকোনো অনুষ্ঠানে ফুলের বদলে প্লাস্টিক ফুল ব্যবহার করা হয়। এতে ফুল ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় ধস নেমেছে।

ফুল ব্যবসায়ী শাকিল বলেন, ফুল হলো শখের জিনিস। একটি পচনশীল পণ্য। গতকয়েক বছর লকডাউনে ফুলের দোকান বন্ধ থাকায় লাখ টাকার ফুল নষ্ট হয়েছে। এখন আবার করোনার প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আগামী ‘বিশেষ’ দিনগুলোর জন্য ফুল আমাদনি করে রাখতে ভয় পাচ্ছি। বছরে ৭/৮ বিশেষ দিনে ফুলের চাহিদা বেশি থাকতো। এরপর বিয়ে-শাদি, সামাজিক অনুষ্ঠানে ফুল বিক্রি হতো সারাবছর। করোনা সব শেষ করে দিয়েছে।

শেয়ার করুন

কুমিল্লায় করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ভয়ে ফুল ব্যবসায়ীরা

তারিখ : ১২:৫২:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মাজহারুল ইসলাম বাপ্পি :

কুমিল্লার ফুলের দোকানগুলোতে বছরজুড়েই পাওয়া যায় থরে থরে সাজানো বাহারি জাতের ফুল। সকাল-সন্ধ্যা এখানে ফুল বিক্রি চলে হরদম। সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে বিয়ে, জন্মদিন, ধর্মীয় উৎসবসহ ফুলের প্রয়োজন হলেই নগরবাসী ছুটে ফুল দোকানে।

বছর শুরুর কয়েক মাস ফুল ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসার মৌসুম। ফুল ব্যবসায়ীদের জন্য সুদিন বলা চলে।
কিন্তু গত দু’বছর বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাবে পথে বসার উপক্রম হয়েছে ফুল ব্যবসায়ীদের। গত বছরের শেষের দিকে মৃত্যু ও শনাক্ত কমলেও এ বছর নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে পুনরায় তীব্র হয়ে উঠছে মহামারি করোনা। এবারও কি তাহলে ক্ষতির মুখ দেখতে হবে? এমন ভয়, দুশ্চিন্তা ও হতাশায় কাটছে ফুল ব্যবসায়ীদের দিন।

কুমিল্লার ফুলের দোকান গুলো ঘুরে দেখা যায় অধিকাংশ দোকান ক্রেতাশূন্য। গল্প আর আড্ডায় অলস সময় পার করছে দোকানিরা। চলছে ফেব্রুয়ারি মাস। নানা রঙের গোলাপ, গাঁদা, অপরাজিতা, অতিথি, সানফ্লাওয়ার, কাশফুল, স্টার, রেডরোজ, হেভেনস, সিলসিলাসহ বাহারি রকমের ফুল দিয়ে সাজানো দোকানগুলো। এ মাসেই রয়েছে ভাষা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারি। ফুলের ব্যবসায়ীরা ফুল চাষিদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতেও ভয় পাচ্ছেন।

কারণ করোনা বৃদ্ধির ফলে যদি দেশ লকডাউনে পড়ে, তাহলে তারা নিঃশেষ হয়ে যাবে। এছাড়া স্বাভাবিক সময়ের মতো বিয়ে ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজনও তেমন নেই। তাই ফুলের চাহিদাও কম। কয়েকটি দোকানে ক্রেতার উপস্থিত থাকলেও দোকানিদের চোখে মুখে উদ্বেগ, হতাশা আর অজানা শঙ্কা। করোনা মহামারির আগে এ সময়টাতে দম ফেলার ফুরসত মিলতো না তাদের।

এছাড়া প্লাস্টিকের ফুল গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ফুল ব্যবসায়ীদের। কমদামি প্লাস্টিক ফুল ও আমদানি করা রকমারি বিদেশি ফুলের দখলে যাচ্ছে দেশি ফুলের বাজার। প্রায় বিয়েশাদী কিংবা যেকোনো অনুষ্ঠানে ফুলের বদলে প্লাস্টিক ফুল ব্যবহার করা হয়। এতে ফুল ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় ধস নেমেছে।

ফুল ব্যবসায়ী শাকিল বলেন, ফুল হলো শখের জিনিস। একটি পচনশীল পণ্য। গতকয়েক বছর লকডাউনে ফুলের দোকান বন্ধ থাকায় লাখ টাকার ফুল নষ্ট হয়েছে। এখন আবার করোনার প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আগামী ‘বিশেষ’ দিনগুলোর জন্য ফুল আমাদনি করে রাখতে ভয় পাচ্ছি। বছরে ৭/৮ বিশেষ দিনে ফুলের চাহিদা বেশি থাকতো। এরপর বিয়ে-শাদি, সামাজিক অনুষ্ঠানে ফুল বিক্রি হতো সারাবছর। করোনা সব শেষ করে দিয়েছে।