নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট :
করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর সারাদেশের মতো সিলেটেও বেড়েছে মাস্কের ব্যবহার। ধুলাবালি আর ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে এখন সকল বয়সী মানুষের মধ্যেই বেড়েছে মাস্ক ব্যবহারের প্রবণতা। এ সুযোগে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সিলেটে মাস্কের ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছে সিন্ডিকেট। আগের চেয়ে তিন-চারগুণ বেশি দামে তারা বিক্রি করছেন মাস্ক। প্রশাসনও বসে নেই। অতিরিক্ত দামে মাস্ক বিক্রির খবর পেলেই চালাচ্ছে অভিযান।
গত তিনদিনে এরকম ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। মাস্ক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এরকম অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সারাবছর যে মাস্ক ৩ থেকে ৫ টাকায় বিক্রি হতো সেই মাস্ক এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। এছাড়া ৫০-৮০ টাকার মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকায়। বাজারে মাস্কের সংকট রয়েছে দাবি করে ফার্মেসি মালিক ও দোকানদাররা ক্রেতাদের কাছ থেকে আদায় করে নিচ্ছেন কয়েকগুণ টাকা।
বেশি দামে মাস্ক বিক্রির দায়ে আজ বুধবার ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর বাজারের খান ফার্মেসিকে ৭ হাজার টাকা, আলম ফার্মেসিকে ২ হাজার টাকা এবং তাজপুর বাজারের সাদিয়া ফার্মেসিকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া নগরীর সুবিদাবাজারের ফ্রেন্ডস ফার্মেসিকে ৫ হাজার টাকা ও টুকেরবাজারের পপুলার ফার্মেসিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া নগরীর পাঠানটুলা তারাপুর পয়েন্টে চৈতি ফার্মেসিতে ৫ টাকার মাস্ক ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে এমন অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর।
অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ওই ফার্মেসিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া একই অভিযোগে একই এলাকার হামজা ফার্মেসিকে ৫ হাজার টাকা, আম্বরখানায় ২০ টাকার মাস্ক ১০০টাকায় বিক্রি করায় মেসার্স জান্নাত ফার্মেসিকে ১৫ হাজার টাকা, পূর্ব শাহীঈদগাহের তামান্না মেডিকেল সেন্টারকে ৫ হাজার টাকা ও টিলাগড় ফ্রেন্ডস লাইব্রেরিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এদিকে, গত সোমবার অভিযান চালিয়ে আরও ৬ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।