১২:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২ লালমাইয়ে বিয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান

শ্বশুরবাড়ির উঠান খুঁড়ে মিলল নিখোঁজ হওয়া গৃহবধূর লাশ

  • তারিখ : ০৬:৩১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অক্টোবর ২০২০
  • / 378

কক্সবাজারের মহেশখালীতে নিখোঁজ হওয়ার ছয়দিন পর শ্বশুরবাড়ির উঠানের মাটি খুঁড়ে আফরোজা আকতার (২০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা গ্রামে তাঁর শ্বশুরবাড়ির উঠানের মাটি খুঁড়ে লাশটি পাওয়া যায়। আফরোজা ওই গ্রামের বাসিন্দা বদরখালী কলেজের প্রভাষক রাকিব হাসানের (৩৫) স্ত্রী। গত ১২ অক্টোবর থেকে আফরোজাকে পাওয়া যাচ্ছিল না।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাই জানান, ওই গৃহবধূকে হত্যা করার পর তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বসতবাড়ির সামনে উঠানে গর্ত করে লাশটি গুম করেছিলেন। ওই গৃহবধূ নিখোঁজ হয়েছেন বলে সুকৌশলে এলাকায় নানা অপপ্রচার চালান তারা। পরে তারা রহস্যজনকভাবে পালিয়ে যান। এ বিষয়ে সন্দেহ হলে রাকিব হাসানের আগের পক্ষের স্ত্রীর সন্তানকে (৭) জিজ্ঞাসাবাদ করে এ বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায় এবং মাটি খুঁড়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নয় মাস আগে রাকিব হাসান ও আফরোজা আকতারের বিয়ে হয়। আফরোজার বাবার বাড়ি উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পুঁছড়া গ্রামে। পুলিশের মতে, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আফরোজার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন রাকিব হাসান ও তার মা।

একবার গুরুতর আহত হয়েছিলেন আফরোজা। এ ঘটনায় আফরোজা বাদী হয়ে গত ১২ মার্চ আদালতে একটি মামলা করেন। এ মাসের শুরুতে উভয় পক্ষের মীমাংসার ভিত্তিতে সংসার শুরু করেন আফরোজা। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কয়েক দিন পর আবারও নির্যাতন শুরু হয় আফরোজার ওপর। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, রাকিব হাসানের মা রোকেয়া হাসান ১২ অক্টোবর বিকালে আফরোজার বাবাকে ফোন করে জানান, আফরোজা নিখোঁজ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আফরোজার বাবার বাড়ির লোকজন তৎপর হন এবং খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এ ঘটনার পরপরই রাকিব হাসান বাড়ি ছেড়ে চলে যান। আফরোজার নিখোঁজ ঘটনায় গত বুধবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা মোহাম্মদ ইসহাক। পরে শুক্রবার রাকিব হাসানসহ পাঁচজনকে আসামি করে অপহরণের মামলা করেন তিনি। ওসি আবদুল হাই বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরার জন্য পুলিশ নানাভাবে চেষ্টা করছে।

শেয়ার করুন

শ্বশুরবাড়ির উঠান খুঁড়ে মিলল নিখোঁজ হওয়া গৃহবধূর লাশ

তারিখ : ০৬:৩১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অক্টোবর ২০২০

কক্সবাজারের মহেশখালীতে নিখোঁজ হওয়ার ছয়দিন পর শ্বশুরবাড়ির উঠানের মাটি খুঁড়ে আফরোজা আকতার (২০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা গ্রামে তাঁর শ্বশুরবাড়ির উঠানের মাটি খুঁড়ে লাশটি পাওয়া যায়। আফরোজা ওই গ্রামের বাসিন্দা বদরখালী কলেজের প্রভাষক রাকিব হাসানের (৩৫) স্ত্রী। গত ১২ অক্টোবর থেকে আফরোজাকে পাওয়া যাচ্ছিল না।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাই জানান, ওই গৃহবধূকে হত্যা করার পর তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বসতবাড়ির সামনে উঠানে গর্ত করে লাশটি গুম করেছিলেন। ওই গৃহবধূ নিখোঁজ হয়েছেন বলে সুকৌশলে এলাকায় নানা অপপ্রচার চালান তারা। পরে তারা রহস্যজনকভাবে পালিয়ে যান। এ বিষয়ে সন্দেহ হলে রাকিব হাসানের আগের পক্ষের স্ত্রীর সন্তানকে (৭) জিজ্ঞাসাবাদ করে এ বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায় এবং মাটি খুঁড়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নয় মাস আগে রাকিব হাসান ও আফরোজা আকতারের বিয়ে হয়। আফরোজার বাবার বাড়ি উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পুঁছড়া গ্রামে। পুলিশের মতে, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আফরোজার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন রাকিব হাসান ও তার মা।

একবার গুরুতর আহত হয়েছিলেন আফরোজা। এ ঘটনায় আফরোজা বাদী হয়ে গত ১২ মার্চ আদালতে একটি মামলা করেন। এ মাসের শুরুতে উভয় পক্ষের মীমাংসার ভিত্তিতে সংসার শুরু করেন আফরোজা। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কয়েক দিন পর আবারও নির্যাতন শুরু হয় আফরোজার ওপর। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, রাকিব হাসানের মা রোকেয়া হাসান ১২ অক্টোবর বিকালে আফরোজার বাবাকে ফোন করে জানান, আফরোজা নিখোঁজ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আফরোজার বাবার বাড়ির লোকজন তৎপর হন এবং খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এ ঘটনার পরপরই রাকিব হাসান বাড়ি ছেড়ে চলে যান। আফরোজার নিখোঁজ ঘটনায় গত বুধবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা মোহাম্মদ ইসহাক। পরে শুক্রবার রাকিব হাসানসহ পাঁচজনকে আসামি করে অপহরণের মামলা করেন তিনি। ওসি আবদুল হাই বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরার জন্য পুলিশ নানাভাবে চেষ্টা করছে।