লাকসাম প্রতিনিধি :
লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজার থেকে শ্রীয়াংগামী সড়কের প্রায় ৬ কিলোমিটার জুড়ে বেহাল দশায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন যাত্রী-পথচারীরা। চলতি বর্ষা মৌসুমে পরপর টানা বৃষ্টিতে সড়কটির অবস্থা একেবারে নাজেহাল। সড়কটি সংস্কারে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামের অনুগ্রহ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৯৯৬ সালে বর্তমান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর লাকসাম-শ্রীয়াংগামী কাঁচা সড়কটি পাকা করেন। এতে লাকসামের পশ্চিমাঞ্চলের জনচলাচলের ব্যপক সুবিধা হয়। সংষ্কারের অভাবে গত ৪ বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে সড়কটি। ফলে জনভোগান্তির অন্ত নেই। চলতি বর্ষা মৌসুমে পরপর টানা বৃষ্টিতে সড়কটির অবস্থা একেবারে নাজেহাল হওয়ায় জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে সড়কটির সংস্কারে বরাদ্দ হলেও টেন্ডার না হওয়ায় শুরু হচ্ছে না সংস্কার কাজ। ফলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে জনসাধারণের মাঝে। স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বেহাল সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা হবে বলে প্রত্যাশা করছেন স্থানীয় জনসাধারণ।
লাকসাম-শ্রীয়াং সড়কের সিএনজি-অটো চালক মহিন উদ্দিন বলেন, বেহাল রাস্তায় গাড়ী চালাতে গিয়ে আমাদের যেমন কষ্ট হয়, তেমনি যাত্রীদেরও কষ্ট হয়। সবচে বেশি কষ্ট হয় অসুস্থ্য যাত্রীদের। স্বাভাবিক গতিতে গাড়ী চালালেও রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে কয়েকদিন পরপরই গাড়ীর বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটে।
সিংজোড় গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাননীয় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামের অবদানে আমরা এ রাস্তাটি পেয়েছি। যার ফলে আমাদের চলাচলের ব্যাপক সুবিধা হয়েছে। বর্তমানে রাস্তাটির বেহাল দশায় আমরা ভোগান্তি পোহাচ্ছি। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জন্য আমরা মাননীয় মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
বেহাল এ সড়কে যাতায়াতকারী লাকসাম উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অহিদুর রহমান বলেন, শ্রীয়াং থেকে লাকসামে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। যার ফলে আমাদেরকে চরম ভোগান্তি হচ্ছে। আমরা আশাবাদী, মাননীয় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপির হস্তক্ষেপে দ্রুত গতিতে রাস্তাটি সংস্কার হবে।