০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচনে প্রভাব নিয়ে যা বললেন ইসি মাছউদ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ইউএনও’র প্রশংসনীয় উদ্যোগ অফিসে প্রবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কুমিল্লা সদর দক্ষিণে সিএনজি উল্টে শিক্ষক নিহত কুমিল্লা সদর দক্ষিণে আশ্রয়ন প্রকল্পে মাদক বিরোধী যৌথ অভিযান, দুইজনের কারাদণ্ড কুমিল্লায় চমক দেখালেন মনিরুল হক চৌধুরী কুমিল্লা নামে বিভাগ চেয়ে এবার কাতার প্রবাসীদের স্মারকলিপি প্রদান ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ অভিনেতার পৌর মেয়রসহ আ.লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার আহত না হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’, বাতিল হলো ১২৮ জনের গেজেট নির্বাচন বানচালে হঠাৎ আক্রমণ আসার আশঙ্কা প্রধান উপদেষ্টার

করোনাভাইরাস আতঙ্ক: প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের রফতানি বাজারে

  • তারিখ : ১১:৩৪:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 981

মৌসুমের এই সময়ে কাঁকড়া আর কুঁচে বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটতো খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার চাষিদের। কিন্তু বিপুল পরিমান অবিক্রিত কাকড়া ও কুঁচের কারণে এখন দুশ্চিন্তায় তারা। তারউপর মড়কের হাত থেকে রক্ষায় নিতে হচ্ছে বাড়তি পরিচর্যা।

দেশে উৎপাদিত ৮৫ শতাংশ কাঁকড়া এবং ৮৭ শতাংশ কুঁচে, চীনে রপ্তানি হতো। চলমান করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতিতে আমদানি স্থগিত রেখেছে দেশটি। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চাষি ও ব্যবসায়িরা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।

বিভাগীয় মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী, তিন জেলায় কাঁকড়া ও কুঁচে খামারি প্রায় পচিশ হাজার। এই সময়ে দিনে অন্তত ৩৫ মেট্রিকটন কাকড়া আর কুঁচে যায় বিদেশের বাজারে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তিন সপ্তাহ ধরে চালান পাঠানো বন্ধ। এতে কয়েকশ’ টন কাঁকড়া ও কুঁচে অবিক্রিত পড়ে আছে।

মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের হিসাবে, চলতি অর্থবছরে কাকড়া ও কুঁচে রফতানি হয়েছে এক হাজার ৮শ কোটি টাকার। ১৮-১৯ অর্থ বছরে যা ছিল তিনশ’ কোটি টাকার ঘরে।

মৎস্য অফিস বলছে, চীনে রফতানি বন্ধ থাকায় হংকং, কোরিয়া ও তাইওয়ানের বাজারেও দাম পড়ে গেছে।

মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় বলছে, সংকট সামাল দিতে বিকল্প দেশের খোঁজ করা হচ্ছে।

এদিকে, বেশিরভাগ খামারি ঋণ নিয়ে এ ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তাই লাভের অংকের চেয়ে এখন ব্যাংক আর সমিতির সুদ নিয়েই দুশ্চিন্তা তাদের।

শেয়ার করুন

করোনাভাইরাস আতঙ্ক: প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের রফতানি বাজারে

তারিখ : ১১:৩৪:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০

মৌসুমের এই সময়ে কাঁকড়া আর কুঁচে বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটতো খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার চাষিদের। কিন্তু বিপুল পরিমান অবিক্রিত কাকড়া ও কুঁচের কারণে এখন দুশ্চিন্তায় তারা। তারউপর মড়কের হাত থেকে রক্ষায় নিতে হচ্ছে বাড়তি পরিচর্যা।

দেশে উৎপাদিত ৮৫ শতাংশ কাঁকড়া এবং ৮৭ শতাংশ কুঁচে, চীনে রপ্তানি হতো। চলমান করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতিতে আমদানি স্থগিত রেখেছে দেশটি। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চাষি ও ব্যবসায়িরা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।

বিভাগীয় মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী, তিন জেলায় কাঁকড়া ও কুঁচে খামারি প্রায় পচিশ হাজার। এই সময়ে দিনে অন্তত ৩৫ মেট্রিকটন কাকড়া আর কুঁচে যায় বিদেশের বাজারে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তিন সপ্তাহ ধরে চালান পাঠানো বন্ধ। এতে কয়েকশ’ টন কাঁকড়া ও কুঁচে অবিক্রিত পড়ে আছে।

মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের হিসাবে, চলতি অর্থবছরে কাকড়া ও কুঁচে রফতানি হয়েছে এক হাজার ৮শ কোটি টাকার। ১৮-১৯ অর্থ বছরে যা ছিল তিনশ’ কোটি টাকার ঘরে।

মৎস্য অফিস বলছে, চীনে রফতানি বন্ধ থাকায় হংকং, কোরিয়া ও তাইওয়ানের বাজারেও দাম পড়ে গেছে।

মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় বলছে, সংকট সামাল দিতে বিকল্প দেশের খোঁজ করা হচ্ছে।

এদিকে, বেশিরভাগ খামারি ঋণ নিয়ে এ ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তাই লাভের অংকের চেয়ে এখন ব্যাংক আর সমিতির সুদ নিয়েই দুশ্চিন্তা তাদের।