কুমিল্লায় ঢিলেঢালা লকডাউন,প্রশাসনেরও তেমন তৎপরতা নেই

মাজহারুল ইসলাম বাপ্পি :

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধি নিষেধ আরো পাঁচদিন বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান। সরকার ঘোষিত ঈদ পরবর্তী প্রথম ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ (লাকডাউন) এর শেষ দিকে এসে এই লকডাউন অনেকটাই ঢিলেঢালা হয়ে গেছে। জনসাধারণ প্রয়োজনে যেমন ঘর থেকে বের হচ্ছে, তেমনি বিনা কারণেও অনেকে বাহিরে ঘুরাফেরা করছে।

কুমিল্লার সড়কগুলোতে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও কোন প্রকার স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করে অবাধে চলছে কার,মাইক্রো বাস,সিএনজি। কুমিল্লা শহর ও আশপাশের সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল, রিকশা অবাধে চলাচল করছে। গত এক সপ্তাহ আগের তুলনায় বর্তমানে সড়কের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, লকডাউন শিথিল করা হয়েছে।

এ ছাড়া পুলিশের চেকপোস্টগুলোতেও লকডাউনের শুরুতে যেমন কড়াকড় ছিল, এখন তা দেখা যাচ্ছে না। বেশিরভাগ চেকপোস্ট অবাধে পার হয়ে যাচ্ছে যাত্রীরা। নতুন করে আরো ৫ দিন বিধি নিষেধ বাড়ানো হলেও কিছুতেই থেমে নেই অবাধ চলাফেলা। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) কুমিল্লার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে লকডাউনের এমনি চিত্র দেখা গেছে। কুমিল্লা থেকে মাইক্রোবাসে ঢাকা যাচ্ছেন আশিকুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা থেকে ঢাকা আসতে ৫০০ টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে। তবে চেকপোস্টে মাঝে-মধ্যে কিছু সংখ্যক গাড়ি দাঁড় করিয়ে চেক করে পুলিশ। চলমান লকডাউনের শুরুর দিকে চেকপোস্টে বেশ কড়াকডড়ি ছিল। এখন আর কোনো কড়াকড়ি নেই। আজ দেখলাম চেকপোস্টের পুলিশ অনেকটাই নীরবে দায়িত্ব পালন করছে। কার, মাইক্রো, রিকশা, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল সবকিছু অবাধে চেকপোস্ট পার হয়ে যাচ্ছে।

সড়কে চলাচলকারী এক যাত্রী বলেন, ‘চলমান লকডাউনের শুরুর দিকে রাস্তায় মানুষের চলাচল তুলনামূলক অনেক কম ছিল। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে মানুষের চলাচল তত বাড়ছে। তবে বাস না চলায় রাস্তায় তেমন যানজট নেই। অল্প সময়ের মধ্যেই অফিসে চলে আসতে পারি এবং বাসায় ফিরতে পারি।’

অফিসের কাজে বের হওয়া রাখি আক্তার বলেন, ‘রাস্তায় সবকিছুই চলছে, শুধু গণপরিবহন চলছে না। এতে আমাদের মতো স্বল্প বেতনের কর্মীদের কষ্ট হচ্ছে। গণপরিবহন চালু থাকলে ২০ টাকা দিয়েই অফিসে আসতে পারি। এখন রিকশায় ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। এ অবস্থা চললে বেতনের বেশিরভাগ টাকা রিকশা ভাড়া বাবদ চলে যাবে।

’ ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগের তুলনায় এখন রাস্তায় মানুষের চলাচল বেড়েছে, এটা সহজেই বোঝা যাচ্ছে। ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এখন গার্মেন্টস কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। এতে স্বাভাবিকভাবে মানুষের চলাচল বাড়বে। স্বাভাবিক সময়ের মতো যানজট নিয়ন্ত্রণে আমাদের হয়তো অত বেগ পেতে হয় না, কিন্তু নিয়মিতই ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
error: ধন্যবাদ!